মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় তুরস্কের হামলা, পানির জন্য ১০ লাখ মানুষের হাহাকার

সিরিয়ার খরা কবলিত অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে করে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তাদের তেলক্ষেত্র, গ্যাস স্থাপনা ও বিদ্যুৎ স্টেশন ছিল লক্ষ্যবস্তু। মূলত কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাতেই তারা হামলা চালিয়েছে।

এই হামলায় সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। বছরের পর বছর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ানদের দুর্দশা আরও বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অভ্যস্তরীণ সহিংসতায় সেখানে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, সেখানে আগে থেকেই পানির স্বল্পতা ছিল। এর ওপর গত বছর অক্টোবরে বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায় ও পানি উত্তোলন থেমে যায়।  তুরস্ক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র কুর্দি সশস্ত্র বাহিনীর আয়ের সক্ষমতা ধ্বংস করতে এই হামলা চালিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সিরিয়ায় তুরস্কের হামলা, পানির জন্য ১০ লাখ মানুষের হাহাকার

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার খরা কবলিত অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে করে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তাদের তেলক্ষেত্র, গ্যাস স্থাপনা ও বিদ্যুৎ স্টেশন ছিল লক্ষ্যবস্তু। মূলত কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাতেই তারা হামলা চালিয়েছে।

এই হামলায় সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। বছরের পর বছর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ানদের দুর্দশা আরও বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অভ্যস্তরীণ সহিংসতায় সেখানে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, সেখানে আগে থেকেই পানির স্বল্পতা ছিল। এর ওপর গত বছর অক্টোবরে বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায় ও পানি উত্তোলন থেমে যায়।  তুরস্ক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র কুর্দি সশস্ত্র বাহিনীর আয়ের সক্ষমতা ধ্বংস করতে এই হামলা চালিয়েছে।