মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু!

চলতি বছরই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন ইউক্রেনের সাবেক সামরিক কমান্ডার ভ্যালারি জালুঝনি। তিনি বলেন, রাশিয়ার মিত্র দেশগুলোর ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ইউক্রেনস্কা প্রাভদার ‘ইউপি১০০’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এসব কথা বলেন ভ্যালারি জালুঝনি।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এ সামরিক কমান্ডার বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা ও চীনা সমরাস্ত্র যুক্ত রয়েছে। ইউক্রেনের সামনে ফ্রন্টলাইনে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে ইরানি শাহেদি ড্রোনগুলো নির্লজ্জভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে।’ ইউক্রেনের মিত্রদের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এবং সংঘাতকে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ভ্যালারি জালুঝনি বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে এটি এখনও বন্ধ করা সম্ভব।

কিন্তু কিছু কারণে আমাদের অংশীদাররা এটি বুঝতে চায় না। এটা স্পষ্ট যে, ইউক্রেনের ইতিমধ্যে অনেক শত্রু রয়েছে।’ এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘বৈশ্বিক’ এক যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, দরকার হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে পিছপা হবেন না তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি আগ্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়, আমরা সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। যেসব দেশ তাদের অস্ত্র আমাদের সামরিক স্থাপনায় ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে, তাদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করার অধিকার রাশিয়ার রয়েছে। কেউ যদি এটি নিয়ে সন্দেহ করে, তবে তারা ভুল করছে।

এর প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হবে।’ জানা যায়, পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত মঙ্গল ও বুধবার রাশিয়ার ভূুখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। তার পাল্টায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রথমে একে আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মনে করা হলেও পরে মস্কো জানিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রও আইসিবিএমের মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দিলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তাঁর কথায় পাত্তা না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা আরো বাড়ানোর পথ বেছে নেওয়ার পর এবার সরাসরি পশ্চিমে হামলার সম্ভাবনা নাকচ না করার কথা জানালেন তিনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার এবং রাশিয়ার পাল্টা হামলা বিশ্বকে নতুন এক সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু!

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

চলতি বছরই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন ইউক্রেনের সাবেক সামরিক কমান্ডার ভ্যালারি জালুঝনি। তিনি বলেন, রাশিয়ার মিত্র দেশগুলোর ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ইউক্রেনস্কা প্রাভদার ‘ইউপি১০০’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এসব কথা বলেন ভ্যালারি জালুঝনি।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এ সামরিক কমান্ডার বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা ও চীনা সমরাস্ত্র যুক্ত রয়েছে। ইউক্রেনের সামনে ফ্রন্টলাইনে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে ইরানি শাহেদি ড্রোনগুলো নির্লজ্জভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে।’ ইউক্রেনের মিত্রদের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এবং সংঘাতকে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ভ্যালারি জালুঝনি বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে এটি এখনও বন্ধ করা সম্ভব।

কিন্তু কিছু কারণে আমাদের অংশীদাররা এটি বুঝতে চায় না। এটা স্পষ্ট যে, ইউক্রেনের ইতিমধ্যে অনেক শত্রু রয়েছে।’ এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘বৈশ্বিক’ এক যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, দরকার হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে পিছপা হবেন না তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি আগ্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়, আমরা সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। যেসব দেশ তাদের অস্ত্র আমাদের সামরিক স্থাপনায় ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে, তাদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করার অধিকার রাশিয়ার রয়েছে। কেউ যদি এটি নিয়ে সন্দেহ করে, তবে তারা ভুল করছে।

এর প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হবে।’ জানা যায়, পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত মঙ্গল ও বুধবার রাশিয়ার ভূুখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। তার পাল্টায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রথমে একে আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মনে করা হলেও পরে মস্কো জানিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রও আইসিবিএমের মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দিলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তাঁর কথায় পাত্তা না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা আরো বাড়ানোর পথ বেছে নেওয়ার পর এবার সরাসরি পশ্চিমে হামলার সম্ভাবনা নাকচ না করার কথা জানালেন তিনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার এবং রাশিয়ার পাল্টা হামলা বিশ্বকে নতুন এক সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ