মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সমালোচনায় বাইডেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ‘অসঙ্গত’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়ে এ মন্তব্য করেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

জো বাইডেন বলেছেন, ‘আইসিসি যা-ই বলুক, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। আমরা সবসময় ইসরাইলের পাশে থাকব এবং দেশটির নিরাপত্তার প্রতি হুমকির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নেব।

আইসিসি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারি করেছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ আরও একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা এসব অভিযোগকে ‘মূলগতভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বলেন, আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য প্রসিকিউটরের তাড়াহুড়ো ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটিতে গভীর উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, এই বিষয়ে আইসিসির কোনও এখতিয়ার নেই।

তবে ওই বিবৃতিতে হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, আইসিসির পক্ষপাতিত্ব ও জাতিসংঘের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে কঠিন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।

তিনি আরও দাবি করেন, আইসিসির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব অভিযোগ নাকচ করেছে।

ওয়াল্টজের মন্তব্য রিপাবলিকানদের মধ্যে আইসিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। কয়েকজন সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

আইসিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া, দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে ইসরাইল দাবি করেছিল, জুলাই মাসে গাজার একটি বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন। যদিও হামাস এখনও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল—উভয়েই আইসিসির সদস্য নয় এবং তারা এই আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে না।

সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সমালোচনায় বাইডেন

প্রকাশিত সময় : ১১:০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ‘অসঙ্গত’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়ে এ মন্তব্য করেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

জো বাইডেন বলেছেন, ‘আইসিসি যা-ই বলুক, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। আমরা সবসময় ইসরাইলের পাশে থাকব এবং দেশটির নিরাপত্তার প্রতি হুমকির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নেব।

আইসিসি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারি করেছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ আরও একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা এসব অভিযোগকে ‘মূলগতভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বলেন, আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য প্রসিকিউটরের তাড়াহুড়ো ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটিতে গভীর উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, এই বিষয়ে আইসিসির কোনও এখতিয়ার নেই।

তবে ওই বিবৃতিতে হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, আইসিসির পক্ষপাতিত্ব ও জাতিসংঘের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে কঠিন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।

তিনি আরও দাবি করেন, আইসিসির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব অভিযোগ নাকচ করেছে।

ওয়াল্টজের মন্তব্য রিপাবলিকানদের মধ্যে আইসিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। কয়েকজন সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

আইসিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া, দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে ইসরাইল দাবি করেছিল, জুলাই মাসে গাজার একটি বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন। যদিও হামাস এখনও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল—উভয়েই আইসিসির সদস্য নয় এবং তারা এই আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে না।

সূত্র: যুগান্তর