বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রোক্লেমেশন কী? ৩১ ডিসেম্বর কী হবে?

আগামী ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একই ধরনের পোস্ট দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। পোস্টে তারা সেদিন বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন’ বা জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির একাধিক সদস্যও দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘোষণাপত্র কে পাঠ করবেন এবং কি কি থাকছে সেটি এখনো যাওয়া যায়নি। এছাড়া এরইমধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে প্রোক্লেমেশন বা ঘোষণাপত্র কী?

মূলত কোনো রাষ্ট্রে যদি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সামরিক শাসন আসে অথবা অন্য কোনো শাসক আসে, তখন অনেক কিছুই সংবিধান মেনে করা যায় না। তখন সামরিক ফরমান বা প্রোক্লেমেশন দিয়ে সংবিধানকে স্থগিত করা হয়।

আর প্রোক্লেমেশন বা ঘোষণাপত্রে বলা থাকে, তারা এই সংবিধান স্থগিত করল এবং এই ঘোষণাপত্রের অধীনে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা রাষ্ট্রপতি সংবিধানের যে কোনো আর্টিকেল বা আর্টিকেলের অংশবিশেষ সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন, বিয়োজন করতে পারবেন। তখন সংবিধান আর কার্যকর থাকে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্নগুলো আর থাকে না।

ঘোষণাপত্র পাঠের বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন’ ঘোষণা করা হবে। এটি গণঅভ্যুত্থানের একটি দালিলিক প্রমাণ। কোটা আন্দোলন থেকে কীভাবে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, কেন মানুষ জীবন দিয়েছে সবকিছু উঠে আসবে। এছাড়া প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিকও ঘোষণা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রোক্লেমেশন কী? ৩১ ডিসেম্বর কী হবে?

প্রকাশিত সময় : ১১:০১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আগামী ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একই ধরনের পোস্ট দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। পোস্টে তারা সেদিন বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন’ বা জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির একাধিক সদস্যও দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘোষণাপত্র কে পাঠ করবেন এবং কি কি থাকছে সেটি এখনো যাওয়া যায়নি। এছাড়া এরইমধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে প্রোক্লেমেশন বা ঘোষণাপত্র কী?

মূলত কোনো রাষ্ট্রে যদি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সামরিক শাসন আসে অথবা অন্য কোনো শাসক আসে, তখন অনেক কিছুই সংবিধান মেনে করা যায় না। তখন সামরিক ফরমান বা প্রোক্লেমেশন দিয়ে সংবিধানকে স্থগিত করা হয়।

আর প্রোক্লেমেশন বা ঘোষণাপত্রে বলা থাকে, তারা এই সংবিধান স্থগিত করল এবং এই ঘোষণাপত্রের অধীনে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা রাষ্ট্রপতি সংবিধানের যে কোনো আর্টিকেল বা আর্টিকেলের অংশবিশেষ সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন, বিয়োজন করতে পারবেন। তখন সংবিধান আর কার্যকর থাকে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্নগুলো আর থাকে না।

ঘোষণাপত্র পাঠের বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন’ ঘোষণা করা হবে। এটি গণঅভ্যুত্থানের একটি দালিলিক প্রমাণ। কোটা আন্দোলন থেকে কীভাবে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, কেন মানুষ জীবন দিয়েছে সবকিছু উঠে আসবে। এছাড়া প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিকও ঘোষণা করা হবে।