বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্ধশত যাত্রী রেখেই চলে গেল ট্রেন

নাটোরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাটোর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকে না থেমেই ১২টার দিকে স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে ব্যর্থ হন। ট্রেনটি অন্তত তিন মিনিট স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা থাকলেওে এক মিনিটের কম সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠতে ও নামতে পারেনি।

রুহুল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেড়ি করে নাটোর স্টেশনে আসে। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের দিকে ট্রেনটি প্লাটফর্মে ঢুকে এক মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে অনেক যাত্রী উঠতে ব্যর্থ হই। আমার সামনে দুই জন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামেন এবং আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারেননি।”

তিনি আরো বলেন, “ট্রেনের তো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু, না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল? এর দায়টা কার? আমরা স্টেশন মাস্টারকে এ ব্যাপারে জানানোর পরও তিনি কোনো জবাব দেননি।’’

আসাদুজ্জামান নামের আরেক যাত্রী বলেন, “রাজশাহী থেকে আমরা নাটোর হয়ে খুলনায় যাওয়ার জন্য এসেছি। ১৪টি টিকেট কেটেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় প্লাটফর্মে দাঁড়াই, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। আমরা ট্রেনে উঠতে পারিনি। স্টেশন মাস্টারকে এসে বললাম, তিনি কোনো ব্যবস্থা না করে উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।”

এ বিষয়ে নাটোর রেলস্টেশনের মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন মিনিট থামার কথা থাকলেও দেড় মিনিটের মতো দাঁড়িয়েই ছেড়ে চলে যায়। সে কারণে অনেক যাত্রী উঠতে পারেনি।”

তিনি আরো বলেন, “গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই। প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স দেখার দায়িত্ব গার্ডের। তিনি সেটা দেখেননি।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অর্ধশত যাত্রী রেখেই চলে গেল ট্রেন

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাটোর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকে না থেমেই ১২টার দিকে স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে ব্যর্থ হন। ট্রেনটি অন্তত তিন মিনিট স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা থাকলেওে এক মিনিটের কম সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠতে ও নামতে পারেনি।

রুহুল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেড়ি করে নাটোর স্টেশনে আসে। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের দিকে ট্রেনটি প্লাটফর্মে ঢুকে এক মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে অনেক যাত্রী উঠতে ব্যর্থ হই। আমার সামনে দুই জন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামেন এবং আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারেননি।”

তিনি আরো বলেন, “ট্রেনের তো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু, না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল? এর দায়টা কার? আমরা স্টেশন মাস্টারকে এ ব্যাপারে জানানোর পরও তিনি কোনো জবাব দেননি।’’

আসাদুজ্জামান নামের আরেক যাত্রী বলেন, “রাজশাহী থেকে আমরা নাটোর হয়ে খুলনায় যাওয়ার জন্য এসেছি। ১৪টি টিকেট কেটেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় প্লাটফর্মে দাঁড়াই, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। আমরা ট্রেনে উঠতে পারিনি। স্টেশন মাস্টারকে এসে বললাম, তিনি কোনো ব্যবস্থা না করে উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।”

এ বিষয়ে নাটোর রেলস্টেশনের মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন মিনিট থামার কথা থাকলেও দেড় মিনিটের মতো দাঁড়িয়েই ছেড়ে চলে যায়। সে কারণে অনেক যাত্রী উঠতে পারেনি।”

তিনি আরো বলেন, “গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই। প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স দেখার দায়িত্ব গার্ডের। তিনি সেটা দেখেননি।”