সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যাপক ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলে আইনি দুর্বলতা পাওয়া যায়নি

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে করা ৫ মামলার কার্যক্রম বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে কোনো আইনি দুর্বলতা এবং হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শনিবার (১১ জানুয়ারি) আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ। ওই পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আপিল বিভাগের এই আদেশে বলা হয়েছে যে, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনো আইনি দুর্বলতা এবং আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে অনুসারে লিভ টু আপিলগুলো (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) খারিজ করা হলো।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন শ্রম আদালতে পৃথক ৫টি মামলা হয়, তখন তিনি গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়ন ঘিরে কর্মীর চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালে মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। সেসব রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিলের রায় দেন। হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক পাঁচটি ‘লিভ টু আপিল’ করে। শুনানি শেষে সেই ‘লিভ টু আপিল’ গুলো খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।

সূত্র: বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অধ্যাপক ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলে আইনি দুর্বলতা পাওয়া যায়নি

প্রকাশিত সময় : ১১:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে করা ৫ মামলার কার্যক্রম বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে কোনো আইনি দুর্বলতা এবং হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শনিবার (১১ জানুয়ারি) আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ। ওই পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আপিল বিভাগের এই আদেশে বলা হয়েছে যে, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনো আইনি দুর্বলতা এবং আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে অনুসারে লিভ টু আপিলগুলো (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) খারিজ করা হলো।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন শ্রম আদালতে পৃথক ৫টি মামলা হয়, তখন তিনি গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়ন ঘিরে কর্মীর চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালে মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। সেসব রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিলের রায় দেন। হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক পাঁচটি ‘লিভ টু আপিল’ করে। শুনানি শেষে সেই ‘লিভ টু আপিল’ গুলো খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।

সূত্র: বাসস