মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। অপরদিকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি সকলেই নারী ও শিশু। জেরুজালেমের কারাগার থেকে ২১ জন কিশোর এবং ৬৯ নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে বাসে করে যখন রামাল্লায় নিয়ে আসা হয় তখন খুশির বন্যা বয়ে যায়। আতশবাজি উড়িয়ে কারাবন্দিদের আগমনকে উদযাপন করা হয়। তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিবে প্রতিরক্ষা সদরদপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে শত শত ইসরায়েলিরা হামাসের কাছে থাকা তিন জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের দৃশ্য লাইভ দেখছিলেন। তিন নারী জিম্মিকে যখন রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন অনেককে উল্লাস ও কান্না করতে দেখা যায়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জেল সার্ভিস।

এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পলে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনেই ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নারী বা শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এর নেতা।

জারার এর আগে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব সম্পর্কে তার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। আর এই অভিযোগে “উস্কানি”সহ অন্যান্য অভিযোগের জন্য একাধিকবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছিলেন।

ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টানিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অবরুদ্ধ এই উপত্যকা থেকে ঠিক কত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে সেই সংখ্যা অজানা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তিন বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। অপরদিকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি সকলেই নারী ও শিশু। জেরুজালেমের কারাগার থেকে ২১ জন কিশোর এবং ৬৯ নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে বাসে করে যখন রামাল্লায় নিয়ে আসা হয় তখন খুশির বন্যা বয়ে যায়। আতশবাজি উড়িয়ে কারাবন্দিদের আগমনকে উদযাপন করা হয়। তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিবে প্রতিরক্ষা সদরদপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে শত শত ইসরায়েলিরা হামাসের কাছে থাকা তিন জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের দৃশ্য লাইভ দেখছিলেন। তিন নারী জিম্মিকে যখন রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন অনেককে উল্লাস ও কান্না করতে দেখা যায়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জেল সার্ভিস।

এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পলে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনেই ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নারী বা শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এর নেতা।

জারার এর আগে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব সম্পর্কে তার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। আর এই অভিযোগে “উস্কানি”সহ অন্যান্য অভিযোগের জন্য একাধিকবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছিলেন।

ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টানিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অবরুদ্ধ এই উপত্যকা থেকে ঠিক কত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে সেই সংখ্যা অজানা।