সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কে অভিযান

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। এসময় তারা কর ফাঁকির সত্যত্যা পেয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী এতথ্য জানান।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে আসেন। তারা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। পরে পার্কের বিভিন্ন অফিস কক্ষের বিনিয়োগের নথি, আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাবপত্র ও কম্পিটারের হার্ডডিস্ক ও ফাইলপত্র যাচাই-বাছাই করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এসময় তদন্ত দলটি কর ফাঁকির সত্যতা পান। তবে কয়েকটি বিভাগের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর কী পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারবেন বলে জানায় তদন্ত দলটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, “আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেলের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের একটি দল বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে তদন্ত ও অনুসন্ধানে এসেছি। তদন্ত ও অনুসন্ধানে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বিপুল পরিমাণ অঙ্কের কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছি। আমরা আরো কিছু দপ্তর থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। সবকিছু হাতে আসার পরে আমরা বলতে পারব কী পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, সব নথিপত্র পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন কর অফিসকে পাঠাব। পরবর্তীতে কর অফিস তার (বেনজীর আহমেদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

অভিযানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) উপ-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান ও শরীফ মো. ফয়সালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্ক। ইনসেট: বেনজীর আহমেদে

উল্লেখ্য, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপি থাকাকালীন বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে জমির প্রায় সবই ভয় দেখিয়ে ও জোর করে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশ দেন। গত বছরের জুনে এই পার্কটি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করে স্থানীয় প্রশাসন। পার্কটি রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কে অভিযান

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। এসময় তারা কর ফাঁকির সত্যত্যা পেয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী এতথ্য জানান।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে আসেন। তারা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। পরে পার্কের বিভিন্ন অফিস কক্ষের বিনিয়োগের নথি, আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাবপত্র ও কম্পিটারের হার্ডডিস্ক ও ফাইলপত্র যাচাই-বাছাই করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এসময় তদন্ত দলটি কর ফাঁকির সত্যতা পান। তবে কয়েকটি বিভাগের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর কী পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারবেন বলে জানায় তদন্ত দলটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, “আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেলের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের একটি দল বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে তদন্ত ও অনুসন্ধানে এসেছি। তদন্ত ও অনুসন্ধানে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বিপুল পরিমাণ অঙ্কের কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছি। আমরা আরো কিছু দপ্তর থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। সবকিছু হাতে আসার পরে আমরা বলতে পারব কী পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, সব নথিপত্র পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন কর অফিসকে পাঠাব। পরবর্তীতে কর অফিস তার (বেনজীর আহমেদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

অভিযানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) উপ-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান ও শরীফ মো. ফয়সালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্ক। ইনসেট: বেনজীর আহমেদে

উল্লেখ্য, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপি থাকাকালীন বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে জমির প্রায় সবই ভয় দেখিয়ে ও জোর করে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশ দেন। গত বছরের জুনে এই পার্কটি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করে স্থানীয় প্রশাসন। পার্কটি রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।