বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারানো নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ : ইসি সানাউল্লাহ

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, এবারের নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে হারানো নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন এ সুযোগ হারাতে চায় না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে শুধু পুলিশ নয়, সব প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার উপলব্ধি যে, ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেটার একমাত্র উপায় হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন, যা করতে সবাই বদ্ধপরিকর।”

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সানাউল্লাহ বলেন, “অতীতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসার নিয়োগ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। দলীয় বিবেচনায় তাদেরকে নির্বাচন করা হতে পারে অথবা তারা যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে করতে পারেনি। তবে এটা নিশ্চিত করব যে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বেছে বেছে যারা নিরপেক্ষ ও কাজ করার মতো সাহসী, তাদের দিয়েই নির্বাচন করতে।

একই সঙ্গে তাদের ক্ষমতায়ন করা হবে, যাতে করে তারা এ প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। প্রার্থীরা সমানভাবে সুযোগ পায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে সরকারকে নির্বাচন কমিশন সহায়তা করবে।”

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন। তপশিল ঘোষণার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সার্বিক রাজনীতি এবং বিচারিক প্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং সে সময় যারা তপশিলভুক্ত এবং নিবন্ধিত থাকবে তাদের নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান হবে। আগে থেকে কিছু বলা যাবে না, কারণ এটি একটি বিচারিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সিদ্ধান্তের বিষয়। এছাড়া ঐকমত্যেরও বিষয় আছে।”

এসময় রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার, আবু সাঈম, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম আজিজসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

হারানো নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ : ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, এবারের নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে হারানো নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন এ সুযোগ হারাতে চায় না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে শুধু পুলিশ নয়, সব প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার উপলব্ধি যে, ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেটার একমাত্র উপায় হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন, যা করতে সবাই বদ্ধপরিকর।”

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সানাউল্লাহ বলেন, “অতীতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসার নিয়োগ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। দলীয় বিবেচনায় তাদেরকে নির্বাচন করা হতে পারে অথবা তারা যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে করতে পারেনি। তবে এটা নিশ্চিত করব যে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বেছে বেছে যারা নিরপেক্ষ ও কাজ করার মতো সাহসী, তাদের দিয়েই নির্বাচন করতে।

একই সঙ্গে তাদের ক্ষমতায়ন করা হবে, যাতে করে তারা এ প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। প্রার্থীরা সমানভাবে সুযোগ পায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে সরকারকে নির্বাচন কমিশন সহায়তা করবে।”

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন। তপশিল ঘোষণার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সার্বিক রাজনীতি এবং বিচারিক প্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং সে সময় যারা তপশিলভুক্ত এবং নিবন্ধিত থাকবে তাদের নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান হবে। আগে থেকে কিছু বলা যাবে না, কারণ এটি একটি বিচারিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সিদ্ধান্তের বিষয়। এছাড়া ঐকমত্যেরও বিষয় আছে।”

এসময় রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার, আবু সাঈম, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম আজিজসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।