বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ কী এবং কেন হয়?

ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর। তবে সচেতন ও সতর্ক থাকলে যে কোনো মহামারিই রোধ করা সম্ভব।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণটি। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার সময়ে বেশ কিছু রোগীকে নতুনভাবে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে এই সংক্রমণ দ্বারা। করোনা রোগীদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার বেশি দেখা দেয়ায় চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহারে রাশ টানতে পরামর্শ দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এমস) কর্তৃপক্ষ।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী : করোনা রোগীদের মধ্যে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটছে। চিকিৎসার পরিভাষায় এ রোগকে বলা হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস। শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে বাসা বাধে এই সংক্রমণ। করোনা রোগী দীর্ঘ দিন আইসিইউ বা তাদের ওপর স্টেরয়েড বেশি ব্যবহার হলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তাদের শরীরে জায়গা করে নেয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

এই সংক্রমণ কেবলমাত্র করোনা রোগীদের মধ্যে জায়গা করে নেয় তা নয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে তাদের আক্রমণ করার আশঙ্কা থাকে। করোনার জন্য রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়ায় রোগীদের শরীরে বেশি করে সংক্রমণ করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সমীক্ষা বলছে, করোনার আগে এক লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র একজনের শরীরে দেখা যেত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এ রোগে মৃত্যুর হার যথেষ্ট বেশি। চিকিৎসকদের মতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

 

কোন মানুষদের সংক্রমিত করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস : বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সঙ্কট বাড়ছে এই সংক্রমণের। ক্যানসার আক্রান্তরাও সমস্যায় পড়ছেন। সরাসরি বলা যেতে পারে, যে সকল রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাদের শরীরে জায়গা করে নেয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা রোগীদের মধ্যে এরকম কিছু আগে থেকে, থেকে থাকলে তাদের অবস্থার অবনতি আশঙ্কা করছে চিকিৎসকরা। যে কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আহ্বান করেছেন রক্তে শর্করার পরিমাণ কম রাখতে।-আরটিভি নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ কী এবং কেন হয়?

প্রকাশিত সময় : ০৬:১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর। তবে সচেতন ও সতর্ক থাকলে যে কোনো মহামারিই রোধ করা সম্ভব।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণটি। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার সময়ে বেশ কিছু রোগীকে নতুনভাবে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে এই সংক্রমণ দ্বারা। করোনা রোগীদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার বেশি দেখা দেয়ায় চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহারে রাশ টানতে পরামর্শ দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এমস) কর্তৃপক্ষ।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী : করোনা রোগীদের মধ্যে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটছে। চিকিৎসার পরিভাষায় এ রোগকে বলা হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস। শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে বাসা বাধে এই সংক্রমণ। করোনা রোগী দীর্ঘ দিন আইসিইউ বা তাদের ওপর স্টেরয়েড বেশি ব্যবহার হলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তাদের শরীরে জায়গা করে নেয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

এই সংক্রমণ কেবলমাত্র করোনা রোগীদের মধ্যে জায়গা করে নেয় তা নয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে তাদের আক্রমণ করার আশঙ্কা থাকে। করোনার জন্য রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়ায় রোগীদের শরীরে বেশি করে সংক্রমণ করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সমীক্ষা বলছে, করোনার আগে এক লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র একজনের শরীরে দেখা যেত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এ রোগে মৃত্যুর হার যথেষ্ট বেশি। চিকিৎসকদের মতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

 

কোন মানুষদের সংক্রমিত করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস : বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সঙ্কট বাড়ছে এই সংক্রমণের। ক্যানসার আক্রান্তরাও সমস্যায় পড়ছেন। সরাসরি বলা যেতে পারে, যে সকল রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাদের শরীরে জায়গা করে নেয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা রোগীদের মধ্যে এরকম কিছু আগে থেকে, থেকে থাকলে তাদের অবস্থার অবনতি আশঙ্কা করছে চিকিৎসকরা। যে কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আহ্বান করেছেন রক্তে শর্করার পরিমাণ কম রাখতে।-আরটিভি নিউজ