বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিতে অবৈধ নিয়োগ: দ্রুতই ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিতে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান কার্যক্রম স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে।

সেই সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মণি। ৩১ মে (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস সালামের এক বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানানো হয়।

ভিসি জানান, শিক্ষামন্ত্রী ইউজিসির সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। তিনি ইতিবাচক নিবেন বলেই জানিয়েছেন। তাছাড়া নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ইতিবাচক।

এর আগে দুপুর ১২ টা থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার, অধ্যাপক আবদুস সালাম কে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এই সময় তারা গত ৮ ই মে রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম আবদুস সালাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাদের চাকরীতে যোগদানে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

নিয়োগপ্রাপ্তরা দাবি করেন, মন্ত্রণালয় থেকে স্থগিতাদেশ দিতে কোন নির্দেশনা না থাকা স্বত্বেও রুটিন উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা তাদের যোগদানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তারা নিজেদের যোগদানে প্রশাসনের স্থগিতাদেশকেই বাঁধা হিসেবে দাবি করেন।

অবরুদ্ধ ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আমার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে করার কিছু করার নাই। আমি মন্ত্রণালয়ের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এই তাদের যোগদান কার্যক্রম স্থগিত করেছি। মন্ত্রণালয় যে আদেশ দিবেন সে অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ৬ মে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে ১৩৮ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। এদিন সন্ধ্যায় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ৮ মে তদন্ত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই নিয়োগে যোগদান সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

রাবিতে অবৈধ নিয়োগ: দ্রুতই ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত সময় : ১১:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিতে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান কার্যক্রম স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে।

সেই সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মণি। ৩১ মে (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস সালামের এক বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানানো হয়।

ভিসি জানান, শিক্ষামন্ত্রী ইউজিসির সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। তিনি ইতিবাচক নিবেন বলেই জানিয়েছেন। তাছাড়া নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ইতিবাচক।

এর আগে দুপুর ১২ টা থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার, অধ্যাপক আবদুস সালাম কে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এই সময় তারা গত ৮ ই মে রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম আবদুস সালাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাদের চাকরীতে যোগদানে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

নিয়োগপ্রাপ্তরা দাবি করেন, মন্ত্রণালয় থেকে স্থগিতাদেশ দিতে কোন নির্দেশনা না থাকা স্বত্বেও রুটিন উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা তাদের যোগদানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তারা নিজেদের যোগদানে প্রশাসনের স্থগিতাদেশকেই বাঁধা হিসেবে দাবি করেন।

অবরুদ্ধ ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আমার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে করার কিছু করার নাই। আমি মন্ত্রণালয়ের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এই তাদের যোগদান কার্যক্রম স্থগিত করেছি। মন্ত্রণালয় যে আদেশ দিবেন সে অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ৬ মে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে ১৩৮ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। এদিন সন্ধ্যায় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ৮ মে তদন্ত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই নিয়োগে যোগদান সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।