মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্বকের যত্নে কী করবেন

নারীদের ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলো হলো- একনি, ব্রণ, স্কিন ড্যামেজ, ডাল স্কিন ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো কেন হচ্ছে এই কারণ অনেকেই জানেন না। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না করার কারণে অনেক সময় এমনটা হয়। অনেকেই ত্বকের যত্নে হাজার হাজার টাকার প্রসাধনী ব্যবহার করেন তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী কেমন যত্ন নিতে হবে তা জানেন না। চলুন ত্বকের সাধারণ যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের সাধারণ যত্ন নিতে অনেকগুলো স্কিন কেয়ার প্রসাধনী একসঙ্গে ব্যবহার করা উচিত না। প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে আপনি নিজেই বুঝবেন না ত্বকের কোনটা উপযুক্ত। অনেক সময় দেখা যায় প্রসাধনী ব্যবহার করার পরে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আগে নিশ্চিত হতে হবে ত্বকের জন্য কোন প্রসাধনী উপযুক্ত হবে।

ত্বকের সাধারণ যত্নে যেসব প্রসাধনী রাখতে পারেন
ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটা ভালো ফেসওয়াশ, ভালো ময়েশ্চারাইজার; ত্বককে সুরক্ষা দেবে এমন কোনো সানস্ক্রিন নিন। এ ছাড়া ভালো একটা ক্লিঞ্জিং ওয়েল ব্যবহার করুন। ডাবল ক্লিঞ্জিংয়ের জন্য ওয়েল বেজড ক্লিঞ্জার বেশি উপযোগী।

ত্বকের সাধারণ যত্নে প্রসাধনীগুলো যে কাজ করবে-
ফেসওয়াশ
ফেসওয়াশ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রসাধনী। ফেসওয়াশ করার ফলে আমাদের ত্বক পরিষ্কার হয় যার ফলে একনি-ব্রণের সমস্যা দূর হয়। তবে মনে রাখবেন ফেসওয়াশ ব্যবহারের সময় গুরুত্ব দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার

ময়েশ্চারাইজার স্কিন কেয়ার রুটিনে অন্যতম ধাপ। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে, বয়সের ছাপ কমায়, ব্রণের সাথে লড়াইয়ে সহায়ক, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বককে মসৃণ করে।

সানস্ক্রিন
সূর্যের আলোতে টঠ-অ, টঠ-ই, টঠ-ঈ এই ৩ ধরনের ক্ষতিকর রশ্মি থাকে। এর থেকে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন: ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যাওয়া, মুখে বলিরেখা, ত্বক পাতলা হয়ে যেতে থাকা, ত্বকের মসৃণতা কমে যাওয়া, টানটান ভাব কমে যাওয়া। এমনকি এই রশ্মির প্রভাবে ক্যানসার হওয়া ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। কারণ সানস্ক্রিনে থাকা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার
সাধারণত ডাবল ক্লিঞ্জিংয়ের জন্য অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা ভালো। অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ত্বকের সেবাম আর পল্যুটেন্ট ক্লিন করে। ক্লিঞ্জিং অয়েল ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে। অনেকেই ভাবেন অয়েল ক্লিঞ্জার স্কিন আরও বেশি তৈলাক্ত করে ফেলবে, কিন্তু আসলে তা ভুল ধারণা। অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ। সবসময় চেষ্টা করবেন অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট ধরে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে।

ত্বকের সাধারণ যত্নে কোন প্রসাধনী কখন ব্যবহার করবেন
সকালে : প্রথমে ফেসওয়াশ, এরপর ময়েশ্চারাইজার এবং সবশেষ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে : প্রথমে ক্লিঞ্জিং অয়েল, এর পর ফেসওয়াশ এবং শেষে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।  তবে এত কিছুর পরেও পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম ও বেশি বেশি পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ভেতর থেকে প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়াসহ ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে নিয়মিত ত্বকের সাধারণ যত্ন নিন, সুন্দর থাকুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

ত্বকের যত্নে কী করবেন

প্রকাশিত সময় : ১০:৫০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

নারীদের ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলো হলো- একনি, ব্রণ, স্কিন ড্যামেজ, ডাল স্কিন ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো কেন হচ্ছে এই কারণ অনেকেই জানেন না। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না করার কারণে অনেক সময় এমনটা হয়। অনেকেই ত্বকের যত্নে হাজার হাজার টাকার প্রসাধনী ব্যবহার করেন তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী কেমন যত্ন নিতে হবে তা জানেন না। চলুন ত্বকের সাধারণ যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের সাধারণ যত্ন নিতে অনেকগুলো স্কিন কেয়ার প্রসাধনী একসঙ্গে ব্যবহার করা উচিত না। প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে আপনি নিজেই বুঝবেন না ত্বকের কোনটা উপযুক্ত। অনেক সময় দেখা যায় প্রসাধনী ব্যবহার করার পরে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আগে নিশ্চিত হতে হবে ত্বকের জন্য কোন প্রসাধনী উপযুক্ত হবে।

ত্বকের সাধারণ যত্নে যেসব প্রসাধনী রাখতে পারেন
ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটা ভালো ফেসওয়াশ, ভালো ময়েশ্চারাইজার; ত্বককে সুরক্ষা দেবে এমন কোনো সানস্ক্রিন নিন। এ ছাড়া ভালো একটা ক্লিঞ্জিং ওয়েল ব্যবহার করুন। ডাবল ক্লিঞ্জিংয়ের জন্য ওয়েল বেজড ক্লিঞ্জার বেশি উপযোগী।

ত্বকের সাধারণ যত্নে প্রসাধনীগুলো যে কাজ করবে-
ফেসওয়াশ
ফেসওয়াশ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রসাধনী। ফেসওয়াশ করার ফলে আমাদের ত্বক পরিষ্কার হয় যার ফলে একনি-ব্রণের সমস্যা দূর হয়। তবে মনে রাখবেন ফেসওয়াশ ব্যবহারের সময় গুরুত্ব দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার

ময়েশ্চারাইজার স্কিন কেয়ার রুটিনে অন্যতম ধাপ। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে, বয়সের ছাপ কমায়, ব্রণের সাথে লড়াইয়ে সহায়ক, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বককে মসৃণ করে।

সানস্ক্রিন
সূর্যের আলোতে টঠ-অ, টঠ-ই, টঠ-ঈ এই ৩ ধরনের ক্ষতিকর রশ্মি থাকে। এর থেকে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন: ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যাওয়া, মুখে বলিরেখা, ত্বক পাতলা হয়ে যেতে থাকা, ত্বকের মসৃণতা কমে যাওয়া, টানটান ভাব কমে যাওয়া। এমনকি এই রশ্মির প্রভাবে ক্যানসার হওয়া ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। কারণ সানস্ক্রিনে থাকা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার
সাধারণত ডাবল ক্লিঞ্জিংয়ের জন্য অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা ভালো। অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ত্বকের সেবাম আর পল্যুটেন্ট ক্লিন করে। ক্লিঞ্জিং অয়েল ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে। অনেকেই ভাবেন অয়েল ক্লিঞ্জার স্কিন আরও বেশি তৈলাক্ত করে ফেলবে, কিন্তু আসলে তা ভুল ধারণা। অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ। সবসময় চেষ্টা করবেন অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট ধরে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে।

ত্বকের সাধারণ যত্নে কোন প্রসাধনী কখন ব্যবহার করবেন
সকালে : প্রথমে ফেসওয়াশ, এরপর ময়েশ্চারাইজার এবং সবশেষ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে : প্রথমে ক্লিঞ্জিং অয়েল, এর পর ফেসওয়াশ এবং শেষে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।  তবে এত কিছুর পরেও পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম ও বেশি বেশি পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ভেতর থেকে প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়াসহ ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে নিয়মিত ত্বকের সাধারণ যত্ন নিন, সুন্দর থাকুন।