বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমানো জরুরি

নারীরা খুব ভোরেই ঘুম থেকে ওঠেন। কর্মজীবী নারী হোক বা গৃহিণী, ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানানো থেকে শুরু করে সন্তানের স্কুলে পাঠানো সবই দুহাতে সামলান নারীরা।

দেখা যায় নারীরা যে সময় ঘুম থেকে ওঠেন তখনও পুরুষেরা ঘুমাচ্ছেন! আসলে পুরুষের তুলনায় নারীরা একটু কম ঘুমানোরই সময় পান। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর বেশিক্ষণ ঘুম জরুরি। তবে কেন?

যদিও সবারই দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে গবেষণা বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি ঘুম দরকার। ‘আমেরিকান স্যোশিওলজিক্যাল রিভিউ’-এ ২০১৩ প্রকাশিত হয় একটি গবেষণাপত্র।

ওই গবেষণায় জানা গেছে এই তথ্য। তবে সব নারীর জন্য এই তত্ত্ব প্রযোজ্য নয়। তবে যেসব নারীরা ঘর ও বাইরে সমানতালে খাটেন তাদের জন্য বেশি ঘুম জরুরি। কারণ পুরুষদের থেকে তাদের অনেকটাই বেশি শক্তি ক্ষয় হয়।

ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী জিম হর্নের মতে, পুরুষের তুলনায় গড়ে ২০ মিনিট বেশি ঘুম প্রয়োজন নারীর। এর মূল কারণই হলো, নারীরা সারাদিন একাধিক কাজ করেন।

যদিও পুরুষরা বাইরে বেশি খাটেন, তবে তারা একসঙ্গে একাধিক কাজ করেন না। ফলে তাদের অ্যানার্জি ততটা ক্ষয় হয় না যতটা হয় নারীর। পাশাপাশি গর্ভবতী নারীর বেশিক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন হয়।

এমনকি ঋতুস্রাবের সময় এক-তৃতীয়াংশ নারীর ক্র্যাম্প, মাথাব্যথা ও স্তনে ফোলাভাবজনিত কারণে ঘুমাতে সমস্যা হয়। ফলে ওই সময় তাদের বেশিক্ষণ ঘুমানো উচিত।

২০১৪ সালের এক গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী ঘণ্টার পর ঘণ্টা না ঘুমিয়ে কাটান। অর্থা’ তারা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন। এমন নারীরা বেশি ক্লান্ত থাকেন। তাদের জন্যও অতিরিক্ত ঘুম প্রয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমানো জরুরি

প্রকাশিত সময় : ০৪:২৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

নারীরা খুব ভোরেই ঘুম থেকে ওঠেন। কর্মজীবী নারী হোক বা গৃহিণী, ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানানো থেকে শুরু করে সন্তানের স্কুলে পাঠানো সবই দুহাতে সামলান নারীরা।

দেখা যায় নারীরা যে সময় ঘুম থেকে ওঠেন তখনও পুরুষেরা ঘুমাচ্ছেন! আসলে পুরুষের তুলনায় নারীরা একটু কম ঘুমানোরই সময় পান। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর বেশিক্ষণ ঘুম জরুরি। তবে কেন?

যদিও সবারই দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে গবেষণা বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি ঘুম দরকার। ‘আমেরিকান স্যোশিওলজিক্যাল রিভিউ’-এ ২০১৩ প্রকাশিত হয় একটি গবেষণাপত্র।

ওই গবেষণায় জানা গেছে এই তথ্য। তবে সব নারীর জন্য এই তত্ত্ব প্রযোজ্য নয়। তবে যেসব নারীরা ঘর ও বাইরে সমানতালে খাটেন তাদের জন্য বেশি ঘুম জরুরি। কারণ পুরুষদের থেকে তাদের অনেকটাই বেশি শক্তি ক্ষয় হয়।

ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী জিম হর্নের মতে, পুরুষের তুলনায় গড়ে ২০ মিনিট বেশি ঘুম প্রয়োজন নারীর। এর মূল কারণই হলো, নারীরা সারাদিন একাধিক কাজ করেন।

যদিও পুরুষরা বাইরে বেশি খাটেন, তবে তারা একসঙ্গে একাধিক কাজ করেন না। ফলে তাদের অ্যানার্জি ততটা ক্ষয় হয় না যতটা হয় নারীর। পাশাপাশি গর্ভবতী নারীর বেশিক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন হয়।

এমনকি ঋতুস্রাবের সময় এক-তৃতীয়াংশ নারীর ক্র্যাম্প, মাথাব্যথা ও স্তনে ফোলাভাবজনিত কারণে ঘুমাতে সমস্যা হয়। ফলে ওই সময় তাদের বেশিক্ষণ ঘুমানো উচিত।

২০১৪ সালের এক গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী ঘণ্টার পর ঘণ্টা না ঘুমিয়ে কাটান। অর্থা’ তারা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন। এমন নারীরা বেশি ক্লান্ত থাকেন। তাদের জন্যও অতিরিক্ত ঘুম প্রয়োজন।