প্রেম মানেই প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস। এই প্রতিশ্রতিগুলোই আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে। ভালবাসার অনেক প্রতিশ্রুতিই তো আমরা দিই, কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনটা কেন গতানুগতিক হয়ে যায় বলুন তো? অবসাদ, বিরক্তি কেন ঠিক খুশি থাকতে দেয় না? কারণ খুশি থাকতে গেলে সবচেয়ে প্রয়োজন নিজেকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া, সেই প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তাহলেই বাড়ে আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাস বাড়বে অন্যের প্রতিও। সম্পর্ক সুন্দর হবেই। আজ প্রমিস ডে; নিজেকেও করুন কিছু প্রমিস।
প্রমিস ডে ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের পঞ্চম দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি যে কোনো রোমান্টিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে চিহ্নিত করে। প্রথমে আসে প্রেমের প্রস্তাব, তারপর পছন্দের মানুষকে চকোলেট দিয়ে নিজের হাতে মিষ্টি মুখ করানো এবং পরের ধাপে পছন্দের উপহার দেওয়া। এর ঠিক পরেই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।
সম্পর্কে যখন আমরা এতে অপরকে ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করি, একে অন্যেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়, তখনই আমরা প্রতিশ্রুতি দিই, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আর তখনই আমাদের প্রেম পূর্ণতা পায়। এই বিশেষ দিনে আমরা সেই দিকটিকেই উদযাপন করি।
সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি যেন মাইলস্টোনের মতো কাজ করে, সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে এবং বিপথগামী হতে দেয় না। হ্যাঁ, তারপরেও কখনও কখনও সম্পর্কে চিড় ধরে। ঠিক তখনই প্রতিশ্রুতি কিন্তু একে অপরকে সম্পর্কে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
একজনের সঙ্গে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিন্তু মুখের কথা নয়। এক সঙ্গে একটা সুন্দর পরিবার গড়ে তোলা নতুন প্রেমের মতো অ্যাডভেঞ্চারাস না হলেও তা স্নিগ্ধ মায়া-মমতায় গড়া। সে পথে কাঁটা যেমন থাকবে, তেমনই আনন্দ-আবদারও থাকবে। সেই সব কিছু সামলে চলতে সাহায্য করে প্রতিশ্রুতি।
প্রমিস ডে’র উপহার
উপহার পেতে আমাদের সবারই খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে পছন্দের মানুষ যখন উপদায় দেয় তখন নিজেকে বেশ স্পেশাল মনে হয়। প্রমিস ডে-তে পছন্দের মানুষকে খুশি করতে হিরের আংটির মতো ব্যয়বহুল কিছু দেওয়ার দরকার নেই। ভালোবেসে যে কোনো উপহারই আমাদের উল্টো দিকের মানুষটাকে স্পেশাল মনে করাতে যথেষ্ট। সুদৃশ্য কফি মাগ, হার্ট পিলো, গ্রিটিং কার্ড, ফুল, চকোলেট এই সবই যথেষ্ট। আর নিজেকে পছন্দের মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার চেয়ে বড় কোনো উপহার তো এমনিতেও হয় না! হ্যাপি প্রমিস ডে!

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 























