বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে অবিবাহিত নারীকে ডাক্তার পিল খেতে বলেন

বয়স বাড়লে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে কিছু রোগ নারী-পুরুষ ভেদে আলাদা হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) তেমনি একটি রোগ যা নারীদের হয়ে থাকে। আগে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে এই রোগ দেখা যেত। কিন্তু এখন কম বয়সী নারীদের মধ্যে পিসিওএস বেশি দেখা যায়। 

আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পিসিওএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। সেই সঙ্গে জানব, অবিবাহিত নারীর পিল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেছেন।  

অনেক সময় দেখা যায়, আপনারা গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে টিনএজার যারা রয়েছে বা যারা অবিবাহিত, তাদের ক্ষেত্রে আপনারা পিলের মাধ্যমে অনেক ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। অনেক সময় কিন্তু রোগী বা রোগীর আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছেন, তারা কিন্তু এ বিষয়টাকে খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না যে সে বিবাহিত না, সে কেন পিল খাবে। যদিও আমরা জানি, এটি কুসংস্কার।

এ প্রসঙ্গে ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। পিসিওএস আসলে হরমোনটা যে তৈরি হচ্ছে, সেটাকে রেজিস্ট্যান্স করে দিচ্ছে। আমাদের হরমোন রেজিট্যান্স রিলিফ করার জন্য আমরা দিচ্ছি মেটফরমিন জাতীয় একটি ওষুধ। যেটা তার ইনসুলিনে, হরমোনে রেজিট্যান্সটাকে প্রিভেন্ট করে তার হরমোনটাকে ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু অনেক সময় সেটাতে কাজ হচ্ছে না। তখন তার হরমোন ব্যালান্সের জন্য তাকে পিলজাতীয় ওষুধগুলো দিতে হচ্ছে।

ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি আরো বলেন, এই পিল কিন্তু ওই ধরনের পিল না, যেটা তার জন্মবিরতিকরণে বা পরবর্তীতে তার বেবি না নেয়ার বা না হওয়ার পেছনে একটা কারণ বহন করবে। এটি এমন ধরনের পিল, যে পিলগুলো তার প্রতি মাসে নিয়মিত মাসিকচক্রটাকে রেগুলার করে নিয়ে… তার পরে যেটা করছে, তার যে অতিরিক্ত হরমোন ছিল, সেই লেভেলটাকে কমানো হচ্ছে। এটা তাকে দীর্ঘমেয়াদি দিচ্ছি না। কখনো তিন মাস, কখনো ছয় মাস বা কখনো এক বছরের মতো দিচ্ছি। কারণ, এতে তার রেগুলার যে মেনস্ট্রেশন ফ্লো হচ্ছে, তার হরমোনটা রেগুলার ঠিক থাকছে। না হলে দেখা যাচ্ছে তার এত বেশি মাত্রায় হয়ে যাবে, তখন তার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে অবিবাহিত নারীকে ডাক্তার পিল খেতে বলেন

প্রকাশিত সময় : ১২:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
বয়স বাড়লে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে কিছু রোগ নারী-পুরুষ ভেদে আলাদা হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) তেমনি একটি রোগ যা নারীদের হয়ে থাকে। আগে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে এই রোগ দেখা যেত। কিন্তু এখন কম বয়সী নারীদের মধ্যে পিসিওএস বেশি দেখা যায়। 

আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পিসিওএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। সেই সঙ্গে জানব, অবিবাহিত নারীর পিল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেছেন।  

অনেক সময় দেখা যায়, আপনারা গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে টিনএজার যারা রয়েছে বা যারা অবিবাহিত, তাদের ক্ষেত্রে আপনারা পিলের মাধ্যমে অনেক ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। অনেক সময় কিন্তু রোগী বা রোগীর আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছেন, তারা কিন্তু এ বিষয়টাকে খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না যে সে বিবাহিত না, সে কেন পিল খাবে। যদিও আমরা জানি, এটি কুসংস্কার।

এ প্রসঙ্গে ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। পিসিওএস আসলে হরমোনটা যে তৈরি হচ্ছে, সেটাকে রেজিস্ট্যান্স করে দিচ্ছে। আমাদের হরমোন রেজিট্যান্স রিলিফ করার জন্য আমরা দিচ্ছি মেটফরমিন জাতীয় একটি ওষুধ। যেটা তার ইনসুলিনে, হরমোনে রেজিট্যান্সটাকে প্রিভেন্ট করে তার হরমোনটাকে ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু অনেক সময় সেটাতে কাজ হচ্ছে না। তখন তার হরমোন ব্যালান্সের জন্য তাকে পিলজাতীয় ওষুধগুলো দিতে হচ্ছে।

ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি আরো বলেন, এই পিল কিন্তু ওই ধরনের পিল না, যেটা তার জন্মবিরতিকরণে বা পরবর্তীতে তার বেবি না নেয়ার বা না হওয়ার পেছনে একটা কারণ বহন করবে। এটি এমন ধরনের পিল, যে পিলগুলো তার প্রতি মাসে নিয়মিত মাসিকচক্রটাকে রেগুলার করে নিয়ে… তার পরে যেটা করছে, তার যে অতিরিক্ত হরমোন ছিল, সেই লেভেলটাকে কমানো হচ্ছে। এটা তাকে দীর্ঘমেয়াদি দিচ্ছি না। কখনো তিন মাস, কখনো ছয় মাস বা কখনো এক বছরের মতো দিচ্ছি। কারণ, এতে তার রেগুলার যে মেনস্ট্রেশন ফ্লো হচ্ছে, তার হরমোনটা রেগুলার ঠিক থাকছে। না হলে দেখা যাচ্ছে তার এত বেশি মাত্রায় হয়ে যাবে, তখন তার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।