বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারীরিক সম্পর্কের উপভোগ্যতা নির্ভর করে বয়সের উপর!

যৌনতৃপ্তি কি শুধু নির্ভর করে প্রিয়জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে? নাকি দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভালবাসার মানুষটির স্পর্শ পেলে? এগুলোর কোনটি-ই কিন্তু ভুল নয়। তবে হালের গবেষণা বলছে, এগুলো ছাড়াও যৌন সম্পর্ক কতটা উপভোগ করবেন, তা নির্ভর করে কোন বয়সে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ, যৌনতার ক্ষেত্রে বয়সভেদে কিন্তু যৌনসুখের তারতম্য ঘটে।

এর অর্থ এটা নয় যে, অল্প বয়সের যৌনজীবন সবচেয়ে উপভোগ্য। ২০ বছর বয়সের যৌনতার সঙ্গে ৬০ বছর বয়সে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কের তফাৎ থাকবেই। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতা, উত্তেজনা, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের হাল— সবটাই বদলে যায়।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বদলে যায় যৌনতার মানে?

২০ বছর: এই বয়সটা জীবনের অন্যতম ভাল সময়। জীবনের এই পর্যায়ে ততটা মানসিক চাপ এসে ঘিরে ধরে না। অল্প বয়সের উত্তেজনা থাকে। নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে চাওয়ার তীব্র যৌন ইচ্ছা থাকে। ফলে এই বয়সের যৌনতার মধ্যেও তেজ-সজীবতা থাকে।

৩০ বছর: এই বয়সে এসে অনেকেই জীবনটা ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে শুরু করেন। বিয়ে করেন কিংবা করেন না। নিজের এবং সঙ্গীর প্রতি শুধু আবেগ নয়— ভালবাসা, বিশ্বাস কাজ করে। সেই বিশ্বাস আর ভালবাসায় ভর করেই শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের নিবিড় আশ্রয় খুঁজে নেন।

৪০ বছর: গবেষণা বলছে, ৩০-এর কোটা পার করে যৌনসুখ সবচেয়ে ভাল অনুভব করা যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দু’জনে পরস্পরে ছত্রছায়ায় রয়েছেন। একে অপরকে খুব ভাল করে চেনেন। সম্পর্কের টানাপড়েন থাকলেও এতগুলো দিন একসঙ্গে রয়েছেন মানে, কিছুটা হলেও সেগুলো পেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাই জীবনের এই পর্যায়ে শারীরিক মিলন অনেক বেশি উপভোগ্য হয়।

৫০ বছর: এ সময়টায় এসে সকলের শারীরিক পরিস্থিতি এক রকম থাকে না। উত্তেজনা খানিক কমে যায়। তবে শারীরিক চাহিদা পূরণ ছাড়াও সম্পর্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীরী মিলন প্রয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শারীরিক সম্পর্কের উপভোগ্যতা নির্ভর করে বয়সের উপর!

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

যৌনতৃপ্তি কি শুধু নির্ভর করে প্রিয়জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে? নাকি দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভালবাসার মানুষটির স্পর্শ পেলে? এগুলোর কোনটি-ই কিন্তু ভুল নয়। তবে হালের গবেষণা বলছে, এগুলো ছাড়াও যৌন সম্পর্ক কতটা উপভোগ করবেন, তা নির্ভর করে কোন বয়সে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ, যৌনতার ক্ষেত্রে বয়সভেদে কিন্তু যৌনসুখের তারতম্য ঘটে।

এর অর্থ এটা নয় যে, অল্প বয়সের যৌনজীবন সবচেয়ে উপভোগ্য। ২০ বছর বয়সের যৌনতার সঙ্গে ৬০ বছর বয়সে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কের তফাৎ থাকবেই। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতা, উত্তেজনা, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের হাল— সবটাই বদলে যায়।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বদলে যায় যৌনতার মানে?

২০ বছর: এই বয়সটা জীবনের অন্যতম ভাল সময়। জীবনের এই পর্যায়ে ততটা মানসিক চাপ এসে ঘিরে ধরে না। অল্প বয়সের উত্তেজনা থাকে। নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে চাওয়ার তীব্র যৌন ইচ্ছা থাকে। ফলে এই বয়সের যৌনতার মধ্যেও তেজ-সজীবতা থাকে।

৩০ বছর: এই বয়সে এসে অনেকেই জীবনটা ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে শুরু করেন। বিয়ে করেন কিংবা করেন না। নিজের এবং সঙ্গীর প্রতি শুধু আবেগ নয়— ভালবাসা, বিশ্বাস কাজ করে। সেই বিশ্বাস আর ভালবাসায় ভর করেই শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের নিবিড় আশ্রয় খুঁজে নেন।

৪০ বছর: গবেষণা বলছে, ৩০-এর কোটা পার করে যৌনসুখ সবচেয়ে ভাল অনুভব করা যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দু’জনে পরস্পরে ছত্রছায়ায় রয়েছেন। একে অপরকে খুব ভাল করে চেনেন। সম্পর্কের টানাপড়েন থাকলেও এতগুলো দিন একসঙ্গে রয়েছেন মানে, কিছুটা হলেও সেগুলো পেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাই জীবনের এই পর্যায়ে শারীরিক মিলন অনেক বেশি উপভোগ্য হয়।

৫০ বছর: এ সময়টায় এসে সকলের শারীরিক পরিস্থিতি এক রকম থাকে না। উত্তেজনা খানিক কমে যায়। তবে শারীরিক চাহিদা পূরণ ছাড়াও সম্পর্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীরী মিলন প্রয়োজন।