শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনের বেলা ঘুমানো ভালো নাকি খারাপ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটান তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীরে কোনো মুভমেন্ট হয় না। এ অবস্থায় শরীর বেশি সময় থাকার কারণে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।

রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও যদি ঘুমের অভ্যাস থাকে তাতে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে ঘুমের পরিমাণও বেড়ে যায়। আর বেশি পরিমাণ ঘুমের কারণে আমাদের যেসব রোগের ঝুঁকি রয়েছে তাহলো টাইপ টু ডায়াবেটিস,হার্ট অ্যাটাক, স্থূলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্যাক পেইন ইত্যাদি।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, সকালের সময়টাতে শরীর সক্রিয় থাকে সব থেকে বেশি। আর খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুপুরের খাবার গ্রহণের পর যদি ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে ধীরে ধীরে আপনার মধ্যে দেখা দেবে পেটে গ্যাসের সমস্যা, চর্মরোগ, বমিভাব, স্থূলতা।

ন্যাচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, দিবানিদ্রা হজমশক্তি মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কমিয়ে দিতে পারে স্মৃতিশক্তি। বাড়াতে পারে চর্মরোগ, হার্টের রোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা বলছেন, ভরপেট খাওয়ার পর দুপুরের ঘুমে পাকস্থলী ঠিকমতো নড়াচড়া করতে না পারায় বুক জ্বালাপোড়া এবং গলা জ্বলার মতো অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। তাই দিনের বেলা ঘুমের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। তবে কাজের গতি বৃদ্ধিতে ১০ মিনিটের হালকা বিশ্রাম নেওয়া যেতে বলে মনে করছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দিনের বেলা ঘুমানো ভালো নাকি খারাপ?

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটান তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীরে কোনো মুভমেন্ট হয় না। এ অবস্থায় শরীর বেশি সময় থাকার কারণে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।

রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও যদি ঘুমের অভ্যাস থাকে তাতে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে ঘুমের পরিমাণও বেড়ে যায়। আর বেশি পরিমাণ ঘুমের কারণে আমাদের যেসব রোগের ঝুঁকি রয়েছে তাহলো টাইপ টু ডায়াবেটিস,হার্ট অ্যাটাক, স্থূলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্যাক পেইন ইত্যাদি।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, সকালের সময়টাতে শরীর সক্রিয় থাকে সব থেকে বেশি। আর খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুপুরের খাবার গ্রহণের পর যদি ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে ধীরে ধীরে আপনার মধ্যে দেখা দেবে পেটে গ্যাসের সমস্যা, চর্মরোগ, বমিভাব, স্থূলতা।

ন্যাচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, দিবানিদ্রা হজমশক্তি মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কমিয়ে দিতে পারে স্মৃতিশক্তি। বাড়াতে পারে চর্মরোগ, হার্টের রোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা বলছেন, ভরপেট খাওয়ার পর দুপুরের ঘুমে পাকস্থলী ঠিকমতো নড়াচড়া করতে না পারায় বুক জ্বালাপোড়া এবং গলা জ্বলার মতো অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। তাই দিনের বেলা ঘুমের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। তবে কাজের গতি বৃদ্ধিতে ১০ মিনিটের হালকা বিশ্রাম নেওয়া যেতে বলে মনে করছেন তারা।