বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেদির কোন নকশা আপনার জন্য মানানসই

মেয়েদির ব্যবহার প্রথম শুরু হয়েছিল উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলে। প্রায় ৯ হাজার বছর আগে মেহেদির ব্যবহার শুরু হয়। প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে হাতে-পায়ে মেহেদির আচ্ছাদন দেওয়া হতো। বিশেষ করে মরু অঞ্চলের যোদ্ধারা এই কাজ করতেন। কালে কালে এই প্রথা ধর্মীয় সংস্কৃতি ও রূচচর্চার অংশ হয়ে উঠেছে। জলছাপ, বডি জুয়েলারিসহ অনেক ডিজাইন এসেছে অধুনা মেহেদির ডিজাইনে। নকশাগুলোর বৈশিষ্ট্য জেনে ঠিক করে নিন,  এই ঈদে কোন ডিজাইনে হাত সাজাবেন।

বডি জুয়েলারি: এই ডিজাইন বা নকশার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পোশাকের হাতা, গলার নেকলেস বা ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে নকশা করা হয়। ঈদেও যদি বডি জুয়েলারি নকশা চান তাহলে আপনার ঈদের পোশাকটির ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন।

অ্যারাবিক ডিজাইন: এবস্ট্রাক্ট লাইন ডিজাইনে ফুল, লতাপাতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা যায় এই ডিজাইনে।

জলছাপ নকশা: এই নকশা হচ্ছে হাতের ওপর পাতা বা ফুল রেখে তার ওপর মেহেদির প্রলেপ দিয়ে রাখা। এরপর খালি জায়গাটিতেই মূল নকশা ফুটে ওঠে।

ফুলের নকশা: ফ্লোরাল বা ফুলের মোটিফ সুনিপুনভাবে হাতে ফুটিয়ে তোলা যায়। এটি বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ড। যেকোন পোশাকের সঙ্গে মানিয়েও যায় সহজে।

পানপাতা: এই ধারায় হাতের তালুতে একটা পানপাতার নকশা করা হয়। দেখতে অনেকটা গম্বুজের মতো বলে পানপাতা নকশাকে কেউ কেউ গম্বুজও বলেন।

আঙুল নকশা: তরুণীদের পছন্দের একটি নকশা হচ্ছে আঙুল নকশা। মিনিমাল লুকের জন্য প্রতিটি আঙুলে দুই বা তিনটি নকশা করা যেতে পারে।

ফিউশধর্মী মান্ডালা: সাধারণত গয়নার ডিজাইন তুলে ধরা হয় এই মেহেদি নকশায়। যেমন ঝুমকা, চেইন বা হার।

ট্যাটু স্টাইল: হাল নকশায় অনেকে মেহেদি দিয়ে ট্যাটুও আঁকছেন। ঈদে এই ধারা বেশ জনপ্রিয়। নানা হরফ ও নামের নকশাও ফুটিয়ে তোলা যায় এই নকশায়।

অর্গানিক মেহেদি ব্যবহার করা ভালো। বাজার থেকে টিউব মেহেদি কিনতে হলে মেয়াদ দেখে কিনুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মেহেদির কোন নকশা আপনার জন্য মানানসই

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

মেয়েদির ব্যবহার প্রথম শুরু হয়েছিল উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলে। প্রায় ৯ হাজার বছর আগে মেহেদির ব্যবহার শুরু হয়। প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে হাতে-পায়ে মেহেদির আচ্ছাদন দেওয়া হতো। বিশেষ করে মরু অঞ্চলের যোদ্ধারা এই কাজ করতেন। কালে কালে এই প্রথা ধর্মীয় সংস্কৃতি ও রূচচর্চার অংশ হয়ে উঠেছে। জলছাপ, বডি জুয়েলারিসহ অনেক ডিজাইন এসেছে অধুনা মেহেদির ডিজাইনে। নকশাগুলোর বৈশিষ্ট্য জেনে ঠিক করে নিন,  এই ঈদে কোন ডিজাইনে হাত সাজাবেন।

বডি জুয়েলারি: এই ডিজাইন বা নকশার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পোশাকের হাতা, গলার নেকলেস বা ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে নকশা করা হয়। ঈদেও যদি বডি জুয়েলারি নকশা চান তাহলে আপনার ঈদের পোশাকটির ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন।

অ্যারাবিক ডিজাইন: এবস্ট্রাক্ট লাইন ডিজাইনে ফুল, লতাপাতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা যায় এই ডিজাইনে।

জলছাপ নকশা: এই নকশা হচ্ছে হাতের ওপর পাতা বা ফুল রেখে তার ওপর মেহেদির প্রলেপ দিয়ে রাখা। এরপর খালি জায়গাটিতেই মূল নকশা ফুটে ওঠে।

ফুলের নকশা: ফ্লোরাল বা ফুলের মোটিফ সুনিপুনভাবে হাতে ফুটিয়ে তোলা যায়। এটি বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ড। যেকোন পোশাকের সঙ্গে মানিয়েও যায় সহজে।

পানপাতা: এই ধারায় হাতের তালুতে একটা পানপাতার নকশা করা হয়। দেখতে অনেকটা গম্বুজের মতো বলে পানপাতা নকশাকে কেউ কেউ গম্বুজও বলেন।

আঙুল নকশা: তরুণীদের পছন্দের একটি নকশা হচ্ছে আঙুল নকশা। মিনিমাল লুকের জন্য প্রতিটি আঙুলে দুই বা তিনটি নকশা করা যেতে পারে।

ফিউশধর্মী মান্ডালা: সাধারণত গয়নার ডিজাইন তুলে ধরা হয় এই মেহেদি নকশায়। যেমন ঝুমকা, চেইন বা হার।

ট্যাটু স্টাইল: হাল নকশায় অনেকে মেহেদি দিয়ে ট্যাটুও আঁকছেন। ঈদে এই ধারা বেশ জনপ্রিয়। নানা হরফ ও নামের নকশাও ফুটিয়ে তোলা যায় এই নকশায়।

অর্গানিক মেহেদি ব্যবহার করা ভালো। বাজার থেকে টিউব মেহেদি কিনতে হলে মেয়াদ দেখে কিনুন।