ঈদ মানেই আনন্দ। আনন্দের এই দিনে নিজেকে দেখতে সুন্দর দেখাক, এমনটাই সবাই চান। কিন্তু ত্বক পরিপাটি না হলে আপনি যতই সাজুন, দেখতে ভালো লাগবে না। ঈদের সময়ে উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে আপনাকে আগে থেকেই নিতে হবে যত্ন। তবে সেজন্য আপনাকে পার্লারে ছুটতে হবে না কিংবা করতে হবে না একগাদা খরচও। কেবল বাড়িতে থাকা উপাদান দিয়ে যত্ন নিলেই পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত সুন্দর ত্বক।
এতে ঈদের দিনে সুন্দর ত্বক পেতে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। আগে থেকে ত্বকের যত্ন নিলে ঈদের দিন ত্বক সুন্দর ও সতেজ দেখাবে। ধাপে ধাপে এই কদিন নিজের জন্য সময় বের করে নিন। এতে রোজার ব্যস্ততার মধ্যেও ঠিকঠাক ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-
যেভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন
ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতার দিকেও নজর দিতে হবে। তাই ভালো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু গরম পরেছে বাইরে বের হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। চোখের জন্য রাখতে হবে সানগ্লাস। ত্বক ভালো রাখার জন্য এ সময়টায় বেশি বেশি শাকসবজি ও পানি পান করতে হবে। শাক সবজি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই শাক সবজি খেতে হবে বেশি করে। অনেকেই ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। ত্বককে সজীব রাখতে এই ধরনের ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না, নানা ধরনের মৌসুমি ফল খেতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক
যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের ভোগান্তি বেশি। তবে কিছু নিয়ম মেনে যত্ন নিলে ঈদের দিনেও তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর থাকবে। শসার রস ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকর। এখন থেকেই প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। সপ্তাহে এক দিন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। একটি ডিমের সাদা অংশ, শসার রস ও পুদিনা পাতার পেস্ট মিশিয়েও প্যাক বানাতে পারেন। সপ্তাহে দু-দিন এই প্যাক ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বকে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।
ফেসমাস্ক
ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে ১-২ দিন। ঘরে থাকা ১ টেবিল চামচ শসার রস ও ১ চা-চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন। এটি শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। আবার কাঁচা আলু থেঁতো করে এর রস ফেসমাস্ক হিসেবে কাজে লাগানো যায়। দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করবে। ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির হলে মধু ও দুধের সরের প্যাক তৈরি করতে পারেন।
হাত-পায়ের যত্ন
ঈদের দিন মুখের পাশাপাশি যদি হাত পা সুন্দর দেখায় তবে ভালো লাগাটা আরো বেড়ে যায়। এজন্য করে নিতে পারেন পেডিকিউর এবং মেনিকিউর। এ প্রসঙ্গে রূপ বিশেষজ্ঞ জানান, অনেক রকম ভাবে পেডিকিউর মেনিকিউর করা যায়। নরমাল পেডিকিউর মেনিকিউর, ফ্রেঞ্চ অ্যাটিচুড মেনিকিউর, প্যারাফিন পেডিকিউর মেনিকিউর, ক্রিস্টাল পেডিকিউর মেনিকিউর, ডিলাক্স পেডিকিউর মেনিকিউর। বিভিন্ন ধাপ পার করে বিভিন্ন পেডিকিউর মেনিকিউর করতে হয়। শুরুতেই হাত ও পায়ের নেলপালিশ রিমুভ করে নিবেন।
এরপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো গরম পানি ও একটু শ্যাম্পু মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাত পা ভিজে রাখতে হবে। এরপর কিউটিক্যাল ক্লিন করতে হবে। নেল কাটিং ফাইলিং করে স্ক্রাবিং করতে হবে। যাদের পায়ের নিচে মরা চামড়া বেশি তাদের পেডি স্টোন দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর আসা যাক ম্যাসাজের দিকে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ হয়ে গেলে মাস্ক লাগাতে হবে। পেডিকিওর মেনিকিওরের ক্ষেত্রে মাস্ক রাখতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর নেইল বাফারিং করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। নরমাল পেডিকিউর মেনিকিউর সাধারণত রিল্যাক্সিং এবং ক্লিনিং এর জন্য করে থাকে।ডেইলি-বাংলাদেশ

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 























