শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। এই উপাদানে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালস ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে বাঁচায়, চুল ও ত্বকের যত্নে এবং শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে যেকোনো রোগের প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ ছাড়া ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনের সুরক্ষা দিতে, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন সি উপকারী।
ভিটামিন সি শরীরের জন্য জরুরি উপাদান। এর ঘাটতি শরীরকে নির্জিব করে দেয়। বিভিন্ন জটিল রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রক্তে থাকা প্রয়োজন।
শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা কিছু লক্ষণ দেখলেই কিন্তু বোঝা যায়। চলুন জেনে নেই লক্ষণগুলো।
ভিটামিন সি এর ঘাটতির লক্ষণ
১. যাঁদের শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব রয়েছে, তাঁরা খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। শরীরে শক্তি কমে যায়, অবসন্ন হয়ে পড়েন। কায়িক পরিশ্রম না করেও হঠাৎ যদি খুব ক্লান্ত লাগে, তা হলে রক্তে ভিটামিন সি-এর মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে কার্নিটিন নামক একটি অণু উৎপাদনে সহায়তা করে। সেটিই দেহের ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
২. ভিটামিন সি-র অভাব হলে শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। হঠাৎ হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, খিদে চলে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
৩. ভিটামিন সি–র অভাবে ত্বকের নানা রোগ হতে পারে। ত্বক জ্বালা করে, চুলকায়। ভিটামিন সি-তে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন প্রোটিনটি স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. শরীরে এই ভিটামিনের অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ির রোগ হতে পারে। হতে পারে স্কার্ভি রোগও। দাঁত নিয়ে ভোগান্তি বাড়লে, শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হয়েছে কি না তা যাচাই করে নিন।
৫. শরীরে আয়রন শোষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে আয়রন শোষণের হার কমে যায় ফলে রক্তাল্পতার মতো রোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার অভাবও হয়।
৬. ভিটামিন সি-এর অভাব হলে গিঁটে ব্যথা বা পেশিতে ব্যথার সমস্যা হয়।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 























