বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অলস দিবস আজ

আমাদের আশপাশের কোনও কোনও মানুষ যেমন অনেক পরিশ্রমী হন, তেমনই কোনও কোনও মানুষ অত্যন্ত অলস প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

সাধারণত অলস মানুষদের কেউ পছন্দ করে না। উঠতে-বসতে নানা রকম সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের। শুনতে হয় নানা ধরনের কথা। কিন্তু, জানেন কী অলসতা উদযাপনের জন্য একটি দিবস আছে?

আজ ১০ আগস্ট আলস্য দিবস। আলসেমী পালনের দিন। প্রতিবছর এই দিনে পালিত হয় National Lazy Day বা ‘জাতীয় অলস দিবস’।

দিবসটি প্রচলন

কারা, কবে দিবসটির প্রচলন করেছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। আবার এমনও হতে পারে যারা দিবসটির প্রচলন করেছিলেন তারা এতটাই অলস ছিলেন যে দিবস চালুর রেকর্ড রাখতেও আলসেমি করেছিলেন। ধারণা করা হয়, কাজের চাপ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে দিবসটির প্রচলন হয়।

প্রতিদিন অলসতার জন্য যাদের দুয়োধ্বনি শুনতে হয়, তারা আজ নিজের আলসেমিকে উদ্‌যাপন করতে পারেন। কেননা, আজ আলসেমি উদ্‌যাপনের দিন। সারাদিন ঘুমিয়ে, শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিতে পারেন কিংবা চেয়ারে বসে-সোফা থেকে না উঠেই দিবসটি উদ্‌যাপন করতে পারেন।

যারা স্বভাবগত ভাবেই অলস, তারা কোনও কাজই করতে পছন্দ করেন না। অত্যন্ত পরিশ্রম বিমুখ হন এরা। সারাদিন শুয়ে বসে থাকাই এদের পছন্দ। আপনিও যদি কিছুটা এরকম হন, তাহলে আজকের দিনটা কিন্তু আপনারই।

অলসতাও ভালো

অলসতা একটি খারাপ অভ্যাস বলেও জানি সবাই, কিন্তু, মাঝে মাঝে অলসতার কিছু ভালো দিকও থাকতে পারে। যেমন: অলস ব্যক্তি দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিতে পারেন, তিনি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের ফলে মানসিক চাপ কমে, কাজে মনোযোগী হওয়া যায় ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। কিন্তু, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উদ্বেগ, হতাশা, দুর্বলতা বাড়ে। তাই অলসতা কিন্তু কখনো কখনো ভালোও হতে পারে।

কীভাবে জাতীয় অলস দিবস উদযাপন করবেন

জাতীয় অলস দিবস উদযাপন করা যতটা সহজ শোনায় ততটাই সহজ, শুধু অলস হতে হবে।

১. আপনার অ্যালার্ম বন্ধ করে দিন এবং যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ ঘুমিয়ে দিন শুরু করুন।

২. ঢিলেঢালা জামা পরে দিন কাটান, সারাদিন বসে থাকুন, একটি বই পড়ুন বা আপনার প্রিয় সিনেমা দেখুন।

৩. ক্যালোরি বা রান্নার বিষয়ে চিন্তা না করে আপনার প্রিয় স্ন্যাকস এবং খাবারের সাথে নিজেকে ব্যবহার করুন।

৪. কাজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য সকল কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকুন। একদিনের জন্য মন যা চায় তাই করুন। যা আপনাকে আনন্দ দেয় তাই করুন।

৫. কিছুই না করে দিন কাটান। সমস্ত দায়িত্ব থেকে বিরতি নিন এবং একটি অলস দিনের শান্তি উপভোগ করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অলস দিবস আজ

প্রকাশিত সময় : ১১:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

আমাদের আশপাশের কোনও কোনও মানুষ যেমন অনেক পরিশ্রমী হন, তেমনই কোনও কোনও মানুষ অত্যন্ত অলস প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

সাধারণত অলস মানুষদের কেউ পছন্দ করে না। উঠতে-বসতে নানা রকম সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের। শুনতে হয় নানা ধরনের কথা। কিন্তু, জানেন কী অলসতা উদযাপনের জন্য একটি দিবস আছে?

আজ ১০ আগস্ট আলস্য দিবস। আলসেমী পালনের দিন। প্রতিবছর এই দিনে পালিত হয় National Lazy Day বা ‘জাতীয় অলস দিবস’।

দিবসটি প্রচলন

কারা, কবে দিবসটির প্রচলন করেছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। আবার এমনও হতে পারে যারা দিবসটির প্রচলন করেছিলেন তারা এতটাই অলস ছিলেন যে দিবস চালুর রেকর্ড রাখতেও আলসেমি করেছিলেন। ধারণা করা হয়, কাজের চাপ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে দিবসটির প্রচলন হয়।

প্রতিদিন অলসতার জন্য যাদের দুয়োধ্বনি শুনতে হয়, তারা আজ নিজের আলসেমিকে উদ্‌যাপন করতে পারেন। কেননা, আজ আলসেমি উদ্‌যাপনের দিন। সারাদিন ঘুমিয়ে, শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিতে পারেন কিংবা চেয়ারে বসে-সোফা থেকে না উঠেই দিবসটি উদ্‌যাপন করতে পারেন।

যারা স্বভাবগত ভাবেই অলস, তারা কোনও কাজই করতে পছন্দ করেন না। অত্যন্ত পরিশ্রম বিমুখ হন এরা। সারাদিন শুয়ে বসে থাকাই এদের পছন্দ। আপনিও যদি কিছুটা এরকম হন, তাহলে আজকের দিনটা কিন্তু আপনারই।

অলসতাও ভালো

অলসতা একটি খারাপ অভ্যাস বলেও জানি সবাই, কিন্তু, মাঝে মাঝে অলসতার কিছু ভালো দিকও থাকতে পারে। যেমন: অলস ব্যক্তি দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিতে পারেন, তিনি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের ফলে মানসিক চাপ কমে, কাজে মনোযোগী হওয়া যায় ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। কিন্তু, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উদ্বেগ, হতাশা, দুর্বলতা বাড়ে। তাই অলসতা কিন্তু কখনো কখনো ভালোও হতে পারে।

কীভাবে জাতীয় অলস দিবস উদযাপন করবেন

জাতীয় অলস দিবস উদযাপন করা যতটা সহজ শোনায় ততটাই সহজ, শুধু অলস হতে হবে।

১. আপনার অ্যালার্ম বন্ধ করে দিন এবং যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ ঘুমিয়ে দিন শুরু করুন।

২. ঢিলেঢালা জামা পরে দিন কাটান, সারাদিন বসে থাকুন, একটি বই পড়ুন বা আপনার প্রিয় সিনেমা দেখুন।

৩. ক্যালোরি বা রান্নার বিষয়ে চিন্তা না করে আপনার প্রিয় স্ন্যাকস এবং খাবারের সাথে নিজেকে ব্যবহার করুন।

৪. কাজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য সকল কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকুন। একদিনের জন্য মন যা চায় তাই করুন। যা আপনাকে আনন্দ দেয় তাই করুন।

৫. কিছুই না করে দিন কাটান। সমস্ত দায়িত্ব থেকে বিরতি নিন এবং একটি অলস দিনের শান্তি উপভোগ করুন।