বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে

অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ভেঙ্গে গেছে কুমিল্লা গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া নামক স্থান দিয়ে বাঁধটি ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বাঁধ ভাঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বাঁধের অন্তত ৩০০ ফুট ভেঙে গেছে। এদিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ষোলনল, পীরযাত্রা পুর, সদর, ইউনিয়নসহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার শংকায় সন্ধ্যা থেকেই লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার বিকালে ১১৩ বিপদসীমার সেন্টিমিটার অতিক্রম করে বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গোমতী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কুমিল্লায় গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে

প্রকাশিত সময় : ১১:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ভেঙ্গে গেছে কুমিল্লা গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া নামক স্থান দিয়ে বাঁধটি ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বাঁধ ভাঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বাঁধের অন্তত ৩০০ ফুট ভেঙে গেছে। এদিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ষোলনল, পীরযাত্রা পুর, সদর, ইউনিয়নসহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার শংকায় সন্ধ্যা থেকেই লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার বিকালে ১১৩ বিপদসীমার সেন্টিমিটার অতিক্রম করে বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গোমতী।