বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ চিঠি লেখার দিন

মহাদেব সাহার কবিতার রেশ ধরে বলা যেতে পারে, ‘করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও’। কিন্তু চিঠি কি আসবে? চিঠি আসুক আর না আসুক আজ আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস।  জীবনের সেই ধীরগতি আর নেই। সবকিছু অতিদ্রুত চলে। মুঠোফোন, ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রয়োজনে যখন-তখন কথা বলা যায়। এই যুগে চিঠির জন্য অপেক্ষা নেই আক্ষেপও নেই। অথচ একসময় যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্যম ছিল চিঠি। আর সেই সময়ের বাস্তবতা বহন করেছে কত শত বাংলা গান ও কবিতা।

বাংলা গান যারা ভালোবাসেন এই গানও তারা শুনেছেন- ‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও’। চিঠিকে তুলনা করা হয় শিল্পের সঙ্গে। দেশে দেশে চিঠি হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, প্রেম অথবা দাপ্তরিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম। চিঠির আবেদন কোনো কালেই ফুরিয়ে যাওয়ার নয়। তুবও হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি। এই শিল্পকে ধরে রাখতে তাই প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে আসছে ‘আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস’। জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিন এই দিবস প্রচলন করেন। সিম্পকিন নব্বই দশকের শেষের দিকে নিজ দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। অনেক সময় সেই চিঠির উত্তর পেতেন না। তবে যখন পেতেন, তখন তার আনন্দের সীমা থাকত না। এই আনন্দ নাকি তার কাজকর্মে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিত। সেই আনন্দের প্রকাশ ঘটাতে ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি চান চিঠি লেখার প্রচলন আবার হোক, মানুষ আবার হৃদয় নিংড়ে লিখুক মনের কথা। এই দিনটি উপলক্ষে আপনিও প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে পারেন। হোক না হারিয়ে যাওয়া রীতিতে নতুন যোগাযোগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আজ চিঠি লেখার দিন

প্রকাশিত সময় : ১০:৫১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মহাদেব সাহার কবিতার রেশ ধরে বলা যেতে পারে, ‘করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও’। কিন্তু চিঠি কি আসবে? চিঠি আসুক আর না আসুক আজ আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস।  জীবনের সেই ধীরগতি আর নেই। সবকিছু অতিদ্রুত চলে। মুঠোফোন, ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রয়োজনে যখন-তখন কথা বলা যায়। এই যুগে চিঠির জন্য অপেক্ষা নেই আক্ষেপও নেই। অথচ একসময় যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্যম ছিল চিঠি। আর সেই সময়ের বাস্তবতা বহন করেছে কত শত বাংলা গান ও কবিতা।

বাংলা গান যারা ভালোবাসেন এই গানও তারা শুনেছেন- ‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও’। চিঠিকে তুলনা করা হয় শিল্পের সঙ্গে। দেশে দেশে চিঠি হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, প্রেম অথবা দাপ্তরিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম। চিঠির আবেদন কোনো কালেই ফুরিয়ে যাওয়ার নয়। তুবও হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি। এই শিল্পকে ধরে রাখতে তাই প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে আসছে ‘আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস’। জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিন এই দিবস প্রচলন করেন। সিম্পকিন নব্বই দশকের শেষের দিকে নিজ দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। অনেক সময় সেই চিঠির উত্তর পেতেন না। তবে যখন পেতেন, তখন তার আনন্দের সীমা থাকত না। এই আনন্দ নাকি তার কাজকর্মে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিত। সেই আনন্দের প্রকাশ ঘটাতে ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি চান চিঠি লেখার প্রচলন আবার হোক, মানুষ আবার হৃদয় নিংড়ে লিখুক মনের কথা। এই দিনটি উপলক্ষে আপনিও প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে পারেন। হোক না হারিয়ে যাওয়া রীতিতে নতুন যোগাযোগ।