মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলার দ্বার খুলছে আজ

অমর একুশের বইমেলা-২০২৫ এর দ্বার খুলবে আজ শনিবার। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের ন্যায় মাসব্যাপী চলবে এই বইমেলা, যার ব্যাপ্তি হবে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে। মেলার দুই প্রাঙ্গণে নতুন ও পুরনো সব বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানগুলো। স্টল ও প্যাভিলিয়নে বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ততার পাশাপাশি মেলার দুই প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠবে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায়। এ ছাড়া মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ ও লেখক কুঞ্জে বইয়ের আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাবে সাহিত্য সমালোচকদের।

আজ বিকাল ৩টায় এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হবে।

এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টিসহ মোট ইউনিট ১০৮৪টি। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি ও ইউনিট ছিল ৯৪৬টি। গতবারের তুলনায় এ বছর প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৬৬টি এবং ইউনিট বেড়েছে ১৩৮টি। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি। গতবারের তুলনায় এবার প্যাভিলিয়ন কমেছে একটি। বরাবরের মতো এবারও লিটল ম্যাগাজিন চত্বর থাকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি ও ইউনিট ১২০টি বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি।

এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির-পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানাঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান ও ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাক্সিক্ষত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে বইমেলায়। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। মেলার প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২৪ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুধুমাত্র ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিকে এবারের বইমেলার আয়োজনকে পরিবেশ সুরক্ষা সচেতন ও জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পাশর্^বর্তী এলাকায় স্থাপিতব্য সব স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ ও খাবার দোকান প্রস্তুতে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন- পাট, কাপড় ও কাগজ ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

বইমেলার দ্বার খুলছে আজ

প্রকাশিত সময় : ১১:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অমর একুশের বইমেলা-২০২৫ এর দ্বার খুলবে আজ শনিবার। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের ন্যায় মাসব্যাপী চলবে এই বইমেলা, যার ব্যাপ্তি হবে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে। মেলার দুই প্রাঙ্গণে নতুন ও পুরনো সব বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানগুলো। স্টল ও প্যাভিলিয়নে বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ততার পাশাপাশি মেলার দুই প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠবে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায়। এ ছাড়া মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ ও লেখক কুঞ্জে বইয়ের আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাবে সাহিত্য সমালোচকদের।

আজ বিকাল ৩টায় এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হবে।

এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টিসহ মোট ইউনিট ১০৮৪টি। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি ও ইউনিট ছিল ৯৪৬টি। গতবারের তুলনায় এ বছর প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৬৬টি এবং ইউনিট বেড়েছে ১৩৮টি। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি। গতবারের তুলনায় এবার প্যাভিলিয়ন কমেছে একটি। বরাবরের মতো এবারও লিটল ম্যাগাজিন চত্বর থাকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি ও ইউনিট ১২০টি বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি।

এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির-পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানাঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান ও ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাক্সিক্ষত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে বইমেলায়। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। মেলার প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২৪ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুধুমাত্র ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিকে এবারের বইমেলার আয়োজনকে পরিবেশ সুরক্ষা সচেতন ও জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পাশর্^বর্তী এলাকায় স্থাপিতব্য সব স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ ও খাবার দোকান প্রস্তুতে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন- পাট, কাপড় ও কাগজ ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।