সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উৎসবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটাতে করণীয়

উৎসবে সাধারণত একটু ‘রুটিন ব্রেক’ হয়ে যায়। এর প্রভাব পরে পারিবারিক সম্পর্ক ও মনে। অনেকের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আবার কেউ কেউ হতাশায় ভুগতে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলা এবং অধিক খাবার গ্রহণ করার মতো কারণগুলো মানসিক হতাশা বাড়িয়ে তুলতে পারে। হতাশা কাটাতে করণীয় জেনে নিন।

ডা. সুব্রত সাহা কনসালটেন্ট, নিউরো থেরাপিস্ট একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সারাদিনের নির্দিষ্ট একটি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকুন। যত কাজকর্মই থাকুক না কেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট মর্নিং ওয়াক করুন। খাওয়ার পরে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন।’’

এই নিউরো থেরাপিস্টের পরামর্শ হচ্ছে, হতাশা এড়াতে সকালে ভারি খাবার গ্রহণ করুন। দুপুরে একটু কম ভারি খাবার গ্রহণ করুন। এবং রাতে হালকা খাবার গ্রহণ করুন। এতে সহজেই হতাশা দূর করতে পারবেন।

উৎসবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়াতে বাড়ির সবাই মিলে একসঙ্গে খান। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে মোবাইল, ট্যাব বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। এর ফলে মনে রাখার মতো মুহূর্ত তৈরি হবে। এ ছাড়া উৎসবে বাড়িতে নানা ধরনের ব্যস্ততা বাড়ে। যে বা যিনি পরিশ্রম করছেন তাকে প্রশংসা করতে ভুলবেন না। প্রশংসা হলো এক ধরনের মানসিক সমর্থন। এতে পারিবারিক সম্পর্কের গতিশীলতা বাড়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

উৎসবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটাতে করণীয়

প্রকাশিত সময় : ০১:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

উৎসবে সাধারণত একটু ‘রুটিন ব্রেক’ হয়ে যায়। এর প্রভাব পরে পারিবারিক সম্পর্ক ও মনে। অনেকের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আবার কেউ কেউ হতাশায় ভুগতে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলা এবং অধিক খাবার গ্রহণ করার মতো কারণগুলো মানসিক হতাশা বাড়িয়ে তুলতে পারে। হতাশা কাটাতে করণীয় জেনে নিন।

ডা. সুব্রত সাহা কনসালটেন্ট, নিউরো থেরাপিস্ট একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সারাদিনের নির্দিষ্ট একটি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকুন। যত কাজকর্মই থাকুক না কেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট মর্নিং ওয়াক করুন। খাওয়ার পরে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন।’’

এই নিউরো থেরাপিস্টের পরামর্শ হচ্ছে, হতাশা এড়াতে সকালে ভারি খাবার গ্রহণ করুন। দুপুরে একটু কম ভারি খাবার গ্রহণ করুন। এবং রাতে হালকা খাবার গ্রহণ করুন। এতে সহজেই হতাশা দূর করতে পারবেন।

উৎসবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়াতে বাড়ির সবাই মিলে একসঙ্গে খান। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে মোবাইল, ট্যাব বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। এর ফলে মনে রাখার মতো মুহূর্ত তৈরি হবে। এ ছাড়া উৎসবে বাড়িতে নানা ধরনের ব্যস্ততা বাড়ে। যে বা যিনি পরিশ্রম করছেন তাকে প্রশংসা করতে ভুলবেন না। প্রশংসা হলো এক ধরনের মানসিক সমর্থন। এতে পারিবারিক সম্পর্কের গতিশীলতা বাড়ে।