মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু সন্তানকে হত্যার পর মেঝেতে পুঁতে রাখে বাবা

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় দুই বছরের শিশু আইয়ু্ব আলীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা। এ ঘটনার পর বাবা নুরুল আমিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ধুরাইল এলাকায় শিশুকে হত্যা করা হয়। নিহত শিশু আইয়ুব আলী ওই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। নুরুল আমিন ফজলু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, অভিযুক্ত নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে তিনি স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় শিশু আইয়ুব আলী ঘরের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন। এরপর নুরুল আমিন ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর নুরুল আমিন আবারও ফিরে এসে ঘরে শুয়ে ছিলেন। এদিকে শিশুর দাদা বাজার থেকে এসে শিশু আইয়ুব আলীকে খুঁজতে থাকেন

কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় নুরুল আমিনের কাছে জানতে চান আইয়ুব আলী কোথায়? পরে নুরুল আমিন বলেন, ‘‘আইয়ুব ঘুমাচ্ছিল। পরে আমি শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি। এতে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে কোদাল দিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুতে রাখি।’’ এ সময় তার দুটি ছাগল মেরে ঘরের মেঝের অন্য একটি জায়গায় পুতে রাখে নুরুল আমিন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জানান, অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

শিশু সন্তানকে হত্যার পর মেঝেতে পুঁতে রাখে বাবা

প্রকাশিত সময় : ০৫:২১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় দুই বছরের শিশু আইয়ু্ব আলীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা। এ ঘটনার পর বাবা নুরুল আমিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ধুরাইল এলাকায় শিশুকে হত্যা করা হয়। নিহত শিশু আইয়ুব আলী ওই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। নুরুল আমিন ফজলু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, অভিযুক্ত নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে তিনি স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় শিশু আইয়ুব আলী ঘরের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন। এরপর নুরুল আমিন ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর নুরুল আমিন আবারও ফিরে এসে ঘরে শুয়ে ছিলেন। এদিকে শিশুর দাদা বাজার থেকে এসে শিশু আইয়ুব আলীকে খুঁজতে থাকেন

কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় নুরুল আমিনের কাছে জানতে চান আইয়ুব আলী কোথায়? পরে নুরুল আমিন বলেন, ‘‘আইয়ুব ঘুমাচ্ছিল। পরে আমি শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি। এতে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে কোদাল দিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুতে রাখি।’’ এ সময় তার দুটি ছাগল মেরে ঘরের মেঝের অন্য একটি জায়গায় পুতে রাখে নুরুল আমিন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জানান, অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।