মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে ঘুম থেকে উঠছেন? হতে পারে যে ক্ষতি

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা সবসময়ই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। দিনের শুরুটা আগেই হলে সময় যেমন বাঁচে, তেমনই কাজের গতিও বাড়ে। সেই সঙ্গে সার্বিক সুস্থতার জন্যও এটি উপকারী। কিন্তু এই অভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ঘড়ির অ্যালার্ম। সেটাই শরীরের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম ভাঙাতে বারবার অ্যালার্মের ওপর নির্ভর করা শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত ঘটায়। আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমের হালকা স্তরের শেষে শরীরকে স্বাভাবিকভাবে জেগে উঠতে সংকেত দেয়। কিন্তু অ্যালার্ম অনেক সময়ই আমাদের গভীর ঘুমের মধ্যে থেকে হঠাৎ টেনে তোলে।

ফলে ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ ভেঙে গিয়ে মাথা ঝিমঝিম, ক্লান্তি ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, প্রতিদিন অ্যালার্মে ঘুম ভাঙার মানে হতে পারে—হয়তো আপনি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না, নয়তো ঘুমের সময়সূচি ঠিকমতো চলছে না। এমনকি অ্যালার্মের ‘ধাক্কা’ সকালে রক্তচাপও বাড়াতে পারে। সাধারণত কর্টিসল নামের হরমোন ধীরে ধীরে বাড়ে, শরীরকে সতেজ হতে সাহায্য করে। কিন্তু হঠাৎ অ্যালার্ম বাজলে কর্টিসলের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়, যা হার্টের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করতে পারে।

কিভাবে সবচেয়ে ভালো উপায়ে ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম ভাঙার সেরা উপায় হলো স্বাভাবিকভাবে ওঠা। এতে শরীর চনমনে থাকে। শরীর যখন প্রস্তুত হয়, তখন সে নিজেই ঘুম ভাঙায়। ফলে মন থাকে হালকা, এনার্জি থাকে বেশি এবং হঠাৎ ‘ধাক্কা’ লাগে না। স্বাভাবিকভাবে ঘুম ভাঙলে মন ভালো থাকে, সারা দিন মনোযোগ ও কর্মশক্তি বাড়ে।

অ্যালার্ম ছাড়াই ঘুম ভাঙাতে কী করবেন ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’–এর মতে, সাধারণ এক পরিবর্তন আপনার সার্কাডিয়ান রিদমকে এমনভাবে তৈরি করে যে, সকালে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়েই ঘুম ভাঙে। তার জন্য সকালের আলোকেই অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহার করুন। ভোরের সূর্যালোক শরীরকে স্বাভাবিক উপায়ে জাগতে সাহায্য করে। অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যালোক শরীরের লাগলে সারা দিন সতেজ থাকবেন এবং রাতে ঘুম আসাও সহজ হবে। সূত্র : দ্য ওয়াল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে ঘুম থেকে উঠছেন? হতে পারে যে ক্ষতি

প্রকাশিত সময় : ১১:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা সবসময়ই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। দিনের শুরুটা আগেই হলে সময় যেমন বাঁচে, তেমনই কাজের গতিও বাড়ে। সেই সঙ্গে সার্বিক সুস্থতার জন্যও এটি উপকারী। কিন্তু এই অভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ঘড়ির অ্যালার্ম। সেটাই শরীরের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম ভাঙাতে বারবার অ্যালার্মের ওপর নির্ভর করা শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত ঘটায়। আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমের হালকা স্তরের শেষে শরীরকে স্বাভাবিকভাবে জেগে উঠতে সংকেত দেয়। কিন্তু অ্যালার্ম অনেক সময়ই আমাদের গভীর ঘুমের মধ্যে থেকে হঠাৎ টেনে তোলে।

ফলে ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ ভেঙে গিয়ে মাথা ঝিমঝিম, ক্লান্তি ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, প্রতিদিন অ্যালার্মে ঘুম ভাঙার মানে হতে পারে—হয়তো আপনি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না, নয়তো ঘুমের সময়সূচি ঠিকমতো চলছে না। এমনকি অ্যালার্মের ‘ধাক্কা’ সকালে রক্তচাপও বাড়াতে পারে। সাধারণত কর্টিসল নামের হরমোন ধীরে ধীরে বাড়ে, শরীরকে সতেজ হতে সাহায্য করে। কিন্তু হঠাৎ অ্যালার্ম বাজলে কর্টিসলের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়, যা হার্টের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করতে পারে।

কিভাবে সবচেয়ে ভালো উপায়ে ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম ভাঙার সেরা উপায় হলো স্বাভাবিকভাবে ওঠা। এতে শরীর চনমনে থাকে। শরীর যখন প্রস্তুত হয়, তখন সে নিজেই ঘুম ভাঙায়। ফলে মন থাকে হালকা, এনার্জি থাকে বেশি এবং হঠাৎ ‘ধাক্কা’ লাগে না। স্বাভাবিকভাবে ঘুম ভাঙলে মন ভালো থাকে, সারা দিন মনোযোগ ও কর্মশক্তি বাড়ে।

অ্যালার্ম ছাড়াই ঘুম ভাঙাতে কী করবেন ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’–এর মতে, সাধারণ এক পরিবর্তন আপনার সার্কাডিয়ান রিদমকে এমনভাবে তৈরি করে যে, সকালে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়েই ঘুম ভাঙে। তার জন্য সকালের আলোকেই অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহার করুন। ভোরের সূর্যালোক শরীরকে স্বাভাবিক উপায়ে জাগতে সাহায্য করে। অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যালোক শরীরের লাগলে সারা দিন সতেজ থাকবেন এবং রাতে ঘুম আসাও সহজ হবে। সূত্র : দ্য ওয়াল