শুকনো ফলের মধ্যে আখরোট শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি; বাদাম বুদ্ধির জন্য ভালো, কিসমিস রক্তচলাচল বাড়ায় আর কাজু হৃদয়কে শক্তিশালী করে। তবে, আখরোট এমন এক ড্রাই ফ্রুট, যা দেখতে যেমন মস্তিষ্কের মতো, তেমনি সত্যিকারের মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ায়। চলুন, জেনে নিই আখরোটের স্বাস্থ্যগুণ।
আয়ুর্বেদ ও আধুনিক বিজ্ঞানে আখরোটের প্রশংসা
আয়ুর্বেদ মতে, আখরোটের উষ্ণ প্রকৃতি দেহে বাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি জয়েন্টের ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও হজমে সহায়ক। অন্যদিকে, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মেলাটোনিন, প্রোটিন, ফাইবার ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ। যা শরীরকে ভেতর থেকে গঠনে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
প্রতিদিন আখরোট খাওয়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সব বয়সের মানুষের জন্য আখরোট একটি প্রাকৃতিক ব্রেন টনিক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
আখরোটে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী।
এ ছাড়া এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরকে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকেও দূরে রাখতে পারে।
হৃদযন্ত্রের বন্ধু
আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলো পরিষ্কার রাখে। যা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত আখরোট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক
আখরোট পেট ভরা রাখে দীর্ঘ সময়, ফলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা কমে যায়।
এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হতে পারে।
কখন খাবেন আখরোট?
আয়ুর্বেদ ও আধুনিক গবেষণা উভয়ই পরামর্শ দেয়, আখরোট খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সন্ধ্যা। কারণ এতে থাকা মেলাটোনিন শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে। সন্ধ্যায় আখরোট খেলে মন শান্ত হয়, মানসিক চাপ কমে এবং ঘুমের মান উন্নত হয়। আখরোট শুধু একটি সাধারণ বাদাম নয়, এটি একটি পুষ্টিকর শক্তি-ঘর। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আখরোট খাওয়া আপনার মস্তিষ্ক, হৃদয়, হজম ও ঘুম সবকিছুর জন্যই উপকারী।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























