মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক, অবস্থান কর্মসূচি চলবে

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। এ সময় তিনি কর্মবিরতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘‘দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।’’

এর আগে সকালে দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে  ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

এ সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান প্রয়োগ করে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন।

উল্লেখ্য, ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো- দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

শীতকালে দূষণ বাড়াচ্ছে চোখের সমস্যা, জানুন সুরক্ষার উপায়

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক, অবস্থান কর্মসূচি চলবে

প্রকাশিত সময় : ১০:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। এ সময় তিনি কর্মবিরতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘‘দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।’’

এর আগে সকালে দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে  ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

এ সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান প্রয়োগ করে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন।

উল্লেখ্য, ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো- দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি।