শীতকালে ঘোরাঘুরি আর আগের মতো নিশ্চিন্তে করা যাচ্ছে না। দূষণের কারণে চোখের ক্ষতি বাড়ছে, যার হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার শুরু করেছেন। কিন্তু চোখের সমস্যা আটকানো সহজ নয়।
বিশেষ করে বড় শহরে দূষণের প্রভাবে চোখ শুকিয়ে যাওয়া, অস্বস্তি, চোখজ্বালা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
যা শিশুদের মধ্যে সমস্যা বেশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ও ওজোন চোখের প্রাকৃতিক ‘ফিল্ম’ ও চোখের ত্রিস্তরীয় তরলের আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর ফলে প্রদাহ, চোখজ্বালা ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অশ্রুর উৎপাদনও কমছে।
চোখে দূষণের প্রভাব সহজেই বোঝা যায় কিছু উপসর্গ দেখে; চোখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন সংক্রমণ, অ্যালার্জির কারণে কনজাঙ্কটিভাইটিস, ধুলো ও আলোতে অস্বস্তি, কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারে সমস্যা। ছোট শিশুদের মধ্যেও সমস্যা বাড়ছে, বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। ধুলো, ধোঁয়া, রাসায়নিক ও বিষাক্ত উপাদান চোখের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
চিকিৎসকরা চোখকে দূষণ থেকে রক্ষা করার কিছু উপায় দিয়েছেন:
১।
বাড়ির বাইরে গেলে সানগ্লাস বা চশমা ব্যবহার করুন।
২। বাড়ি ফিরে ভালোভাবে চোখে পানির ঝাপটা দিন, চোখের পাতা ও পল্লব পরিষ্কার করুন।
৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, যাতে অশ্রু উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে।
৪। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে আই ড্রপ ব্যবহার করুন।
৫। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করে ঠাণ্ডা হাওয়ার সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
৬। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখুন।
৭। দূষণ বেশি হলে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার কমান।
৮। একটানা কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইলের দিকে তাকাবেন না; প্রতি মিনিটে ১০-১৫ সেকেন্ড বিরতি নিন।
৯। চোখের পাতা ঘন ঘন ফেলুন এবং স্ক্রিন চোখের সরাসরি সামনে না রেখে একটু নিচে রাখুন।
সূত্র: এবিপি

রিপোর্টারের নাম 






















