বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনি খেলে কমে যায় যৌনাকাঙ্ক্ষা

মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের প্রভাবে কমে যায় যৌন চাহিদা। আবার বয়স একটু বেড়ে গেলে কিংবা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও এমন হতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে এমন একটি উপাদান আমরা অজান্তেই খেয়ে চলেছি, যা যৌন উদ্দীপনা কমিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী।  আশ্চর্যজনক হলেও সেই উপাদানটি হলো চিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনির প্রভাবে রক্তে শর্করা বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে হতাশা, মানসিক অবসাদ, স্থুলতার সমস্যা বাড়তে থাকে।

তাদের মতে, খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলে নারীদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। যৌনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে লেপটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেপটিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণও হ্রাস পায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও অনুযায়ী, পুরুষদের প্রতিদিন ৯ চামচ ও নারীদের ৬ চামচের বেশি চিনি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি খাওয়ার ফলে পুরুষদের স্তন ভারি হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে শারীরিক গঠন।

তাহলে কি কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে?

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে চিনির বিকল্প হিসেবে অনেকেই সুগার ফ্রি খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম চিনির মধ্যেও রয়েছে শর্করা এবং আরও অনেক রাসায়নিক যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। হৃদস্পন্দনের গতি বদলে যেতে পারে।

এ ছাড়াও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেনসহ একাধিক সমস্যা শরীরে বাসা বাধে। তাই নিত্যদিনের খাদ্য উপাদান থেকে চিনি বা কৃত্রিম চিনির ব্যবহার যতটা কমানো যায় ততই ভালো।

সূত্র : জি নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

চিনি খেলে কমে যায় যৌনাকাঙ্ক্ষা

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের প্রভাবে কমে যায় যৌন চাহিদা। আবার বয়স একটু বেড়ে গেলে কিংবা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও এমন হতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে এমন একটি উপাদান আমরা অজান্তেই খেয়ে চলেছি, যা যৌন উদ্দীপনা কমিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী।  আশ্চর্যজনক হলেও সেই উপাদানটি হলো চিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনির প্রভাবে রক্তে শর্করা বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে হতাশা, মানসিক অবসাদ, স্থুলতার সমস্যা বাড়তে থাকে।

তাদের মতে, খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলে নারীদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। যৌনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে লেপটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেপটিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণও হ্রাস পায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও অনুযায়ী, পুরুষদের প্রতিদিন ৯ চামচ ও নারীদের ৬ চামচের বেশি চিনি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি খাওয়ার ফলে পুরুষদের স্তন ভারি হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে শারীরিক গঠন।

তাহলে কি কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে?

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে চিনির বিকল্প হিসেবে অনেকেই সুগার ফ্রি খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম চিনির মধ্যেও রয়েছে শর্করা এবং আরও অনেক রাসায়নিক যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। হৃদস্পন্দনের গতি বদলে যেতে পারে।

এ ছাড়াও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেনসহ একাধিক সমস্যা শরীরে বাসা বাধে। তাই নিত্যদিনের খাদ্য উপাদান থেকে চিনি বা কৃত্রিম চিনির ব্যবহার যতটা কমানো যায় ততই ভালো।

সূত্র : জি নিউজ