মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হলে কী বলবেন?

সব কিছু চাইলেই টিকিয়ে রাখা যায় না। আবার ভেঙ্গে গেলেও শেষ হয়ে যায় না। সামনে আসে-বার বার আসে। আর সামনে আসা মানে হলো একটা সময়কে নিয়ে আসা একটা সত্যের মুখোমুখি হওয়া। এটা আরো কঠিন হয়, যদি সেটা প্রেমের সম্পর্ক হয়।

যাচাই করে দেখেন তো ভুলতে পেরেছেন কি না?

সম্পর্ক চুকে গেছে আরও আগেই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ এখোনো আছে। বা একটু সময় নিয়ে সাবেক প্রেমিকার নতুন কোনো ছবিতে লাইক দেন। খুঁজে খুঁজে তার নতুন আর পুরোনো ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর সুযোগ পেলে সেটাই করেন। শুধু তাই না কমেন্টও করেন, তাহলে একেবারে ধরে নেন যে তিনি এখনো তোমার মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে আছে।

এবার নিজের সংগ্রহে যা কিছু প্রিয় জিনিষ আছে সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন তো প্রাক্তন প্রেমিকের দেওয়া কিছু প্রিয় জিনিস বা চিঠি, কলম, চুড়ি এখনো সংগ্রহে রেখেছেন কি না? যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে বুঝে নিন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন পুরোনো প্রেমের স্মৃতি।

সময় গড়িয়েছে অনেক দূর। আপনি হয়তো এখন অতীত আর বর্তমানের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে চাইছেন। হয়তো সম্পর্কটা বেশ তিক্তভাবে শেষ হয়েছিলো তাইবলে আক্রমনাত্মক হবার কিছু নেই। অনেক অনেকদিন পরে যদি দেখা হয় তাহলে স্বাভাবিক স্বরেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন ‘কেমন আছো’। আর সে যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে তোমার স্ত্রী কেমন আছে, বাসার সবাই কেমন আছে এগুলো জানতো চাইতে পারেন। এক কথায় প্রশ্নের কেন্দ্রে সাবেক প্রেমিককে না রেখে তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কথা বেশি বেশি বলা ভালো। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে না।

আবেগ লুকিয়ে রাখুন

একটা সময় তিনি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন, এটুকু মনে রেখে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন।

দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক ডক্ট জেসি ফক্স বলছেন, ‘‘সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও যারা সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ওপর নজরদারি চালায়, তারা জীবনে বেশি দুঃখ পায়। এক সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে, আপনি আপনার সাবেকের ওপর নজর রাখার কাজে ফেসবুককে ব্যবহার করলেও এতে আখেরে মন খারাপ হয় আপনারই। এতে শুধু আপনার ক্ষতি হয় এমনটা নয়, ক্ষতির প্রভাব পড়ে আপনার আগামী সম্পর্কের ওপরেও।’’এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.সেলিম হোসেন বলেন, ‘‘সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যাবে কি যাবে না সেটা নির্ভর করবে সম্পর্কটা কেমন ছিলো তার ওপর। যদি এমন হয় সম্পর্ক অনেক বেশি গভীর ছিলো তাহলে দুজনের মধ্যে যদি শারীরিক কোন সম্পর্ক হয়ে থাকে তাহলে আর ওই সম্পর্ক কন্টিনিউ করা উচিত না। এটা বর্তমান সম্পর্ককে  বিষিয়ে তুলতে পারে। আর  যদি আগে সম্পর্ক প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে থাকে তাহলে সেটা বন্ধুত্বের পর্যায়ে টিকিয়ে রাখা যেতে পারে। এজন্য নিজের কনফিডেন্ট থাকা জরুরি যে, এই সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নেবে না। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে যদি কোন রকম যোগাযোগ হয়, বর্তমান পার্টনারকে সেটা জানাতে হবে। তা নাহলে একটা সাধারণ বিষয়ও সংসারে ভাঙ্গন ধরাতে পারে।’’

উল্লেখ্য, একটা সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে যায়, তখন বাস্তবতা মাথায় রেখে দুজনের মধ্যে কথা বলে নেওয়া ভালো। তাহলে সত্যটা সামনে চলে আসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হলে কী বলবেন?

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

সব কিছু চাইলেই টিকিয়ে রাখা যায় না। আবার ভেঙ্গে গেলেও শেষ হয়ে যায় না। সামনে আসে-বার বার আসে। আর সামনে আসা মানে হলো একটা সময়কে নিয়ে আসা একটা সত্যের মুখোমুখি হওয়া। এটা আরো কঠিন হয়, যদি সেটা প্রেমের সম্পর্ক হয়।

যাচাই করে দেখেন তো ভুলতে পেরেছেন কি না?

সম্পর্ক চুকে গেছে আরও আগেই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ এখোনো আছে। বা একটু সময় নিয়ে সাবেক প্রেমিকার নতুন কোনো ছবিতে লাইক দেন। খুঁজে খুঁজে তার নতুন আর পুরোনো ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর সুযোগ পেলে সেটাই করেন। শুধু তাই না কমেন্টও করেন, তাহলে একেবারে ধরে নেন যে তিনি এখনো তোমার মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে আছে।

এবার নিজের সংগ্রহে যা কিছু প্রিয় জিনিষ আছে সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন তো প্রাক্তন প্রেমিকের দেওয়া কিছু প্রিয় জিনিস বা চিঠি, কলম, চুড়ি এখনো সংগ্রহে রেখেছেন কি না? যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে বুঝে নিন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন পুরোনো প্রেমের স্মৃতি।

সময় গড়িয়েছে অনেক দূর। আপনি হয়তো এখন অতীত আর বর্তমানের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে চাইছেন। হয়তো সম্পর্কটা বেশ তিক্তভাবে শেষ হয়েছিলো তাইবলে আক্রমনাত্মক হবার কিছু নেই। অনেক অনেকদিন পরে যদি দেখা হয় তাহলে স্বাভাবিক স্বরেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন ‘কেমন আছো’। আর সে যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে তোমার স্ত্রী কেমন আছে, বাসার সবাই কেমন আছে এগুলো জানতো চাইতে পারেন। এক কথায় প্রশ্নের কেন্দ্রে সাবেক প্রেমিককে না রেখে তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কথা বেশি বেশি বলা ভালো। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে না।

আবেগ লুকিয়ে রাখুন

একটা সময় তিনি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন, এটুকু মনে রেখে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন।

দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক ডক্ট জেসি ফক্স বলছেন, ‘‘সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও যারা সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ওপর নজরদারি চালায়, তারা জীবনে বেশি দুঃখ পায়। এক সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে, আপনি আপনার সাবেকের ওপর নজর রাখার কাজে ফেসবুককে ব্যবহার করলেও এতে আখেরে মন খারাপ হয় আপনারই। এতে শুধু আপনার ক্ষতি হয় এমনটা নয়, ক্ষতির প্রভাব পড়ে আপনার আগামী সম্পর্কের ওপরেও।’’এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.সেলিম হোসেন বলেন, ‘‘সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যাবে কি যাবে না সেটা নির্ভর করবে সম্পর্কটা কেমন ছিলো তার ওপর। যদি এমন হয় সম্পর্ক অনেক বেশি গভীর ছিলো তাহলে দুজনের মধ্যে যদি শারীরিক কোন সম্পর্ক হয়ে থাকে তাহলে আর ওই সম্পর্ক কন্টিনিউ করা উচিত না। এটা বর্তমান সম্পর্ককে  বিষিয়ে তুলতে পারে। আর  যদি আগে সম্পর্ক প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে থাকে তাহলে সেটা বন্ধুত্বের পর্যায়ে টিকিয়ে রাখা যেতে পারে। এজন্য নিজের কনফিডেন্ট থাকা জরুরি যে, এই সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নেবে না। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে যদি কোন রকম যোগাযোগ হয়, বর্তমান পার্টনারকে সেটা জানাতে হবে। তা নাহলে একটা সাধারণ বিষয়ও সংসারে ভাঙ্গন ধরাতে পারে।’’

উল্লেখ্য, একটা সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে যায়, তখন বাস্তবতা মাথায় রেখে দুজনের মধ্যে কথা বলে নেওয়া ভালো। তাহলে সত্যটা সামনে চলে আসে।