সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

শীতের সকালে কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশী শিথিল হয়। গরম পানির সাথে বাথ সল্ট বা লবণ মিশিয়ে নিলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই অভ্যাস শরীরের একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা থেকে তৈরি হওয়া জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শীতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে ১৪ থেকে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে থাকে। এই সময়ে গোসলের জন্য ৩০-৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার পানিই সবচেয়ে উপযোগী।’’

 

গরম পানিতে গোসল করলে যেসব উপকারিতা পেতে পারেন

রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে
হালকা গরম পানিতে গোসল করলে রক্তনালি প্রসারিত হবে। যা রক্তপ্রবাহকে উন্নত করতে সহায়তা দেবে। এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

পেশী শিথিল করে
সকালে ব্যায়ামের পর কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশির টান কমে এবং শরীর শিথিল হয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
কুসুম গরম পানিতে গোসল বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ক্লান্তি ও ব্যথা উপশম হয়
কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে শারীরিক ক্লান্তি ও ব্যথা কমে আসে এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।

সতর্কতা: অঅতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে তা চুল ও ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দিতে পারে, যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হতে পারে। ত্বকের ক্ষতি এড়াতে এবং সর্বোচ্চ উপকার পেতে হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতের সকালে কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশী শিথিল হয়। গরম পানির সাথে বাথ সল্ট বা লবণ মিশিয়ে নিলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই অভ্যাস শরীরের একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা থেকে তৈরি হওয়া জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শীতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে ১৪ থেকে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে থাকে। এই সময়ে গোসলের জন্য ৩০-৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার পানিই সবচেয়ে উপযোগী।’’

 

গরম পানিতে গোসল করলে যেসব উপকারিতা পেতে পারেন

রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে
হালকা গরম পানিতে গোসল করলে রক্তনালি প্রসারিত হবে। যা রক্তপ্রবাহকে উন্নত করতে সহায়তা দেবে। এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

পেশী শিথিল করে
সকালে ব্যায়ামের পর কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশির টান কমে এবং শরীর শিথিল হয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
কুসুম গরম পানিতে গোসল বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ক্লান্তি ও ব্যথা উপশম হয়
কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে শারীরিক ক্লান্তি ও ব্যথা কমে আসে এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।

সতর্কতা: অঅতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে তা চুল ও ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দিতে পারে, যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হতে পারে। ত্বকের ক্ষতি এড়াতে এবং সর্বোচ্চ উপকার পেতে হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।