বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ে মানেই বেনারসি, শাড়ি কেনার সময় যেসব বিষয়ে জানা জরুরি

বিয়ের শাড়ি সাধারণত লালই হয়ে থাকে। আবার অনেকেই কলাপাতা কিংবা ভিন্ন রঙ পছন্দ করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ লাল শাড়ি। এ জন্য বিয়ের দিনের শাড়ি নির্বাচন শুধু সাজ নয়, এটি স্মৃতি হয়ে থাকে সারাজীবনের জন্য।

আর সে জন্য বিয়ের শাড়ি কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় না রাখলে পরে তা আফসোস করতে হতে পারে। সঠিক রঙ নির্বাচন করা, কাপড় ভালো মানের, কাপড়ের ধরন, বাজেট এবং পরিধানের সুবিধা—এসব বিষয় মাথায় রেখেই শাড়ি বাছাই করলে আপনার বিয়ের দিন সাজ হয়ে উঠবে নিখুঁত।

বিয়ে মানে জীবনের নতুন শুরু। অতীতে ছিলেন একরকম, আর বিয়ের পর হয়ে যাবেন আরেক রকম। এখানে সবকিছুই আপনার নতুন মনে হবে। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্নজগতে প্রবেশ করবেন। সে জন্য এ দিনটি যাতে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকে, তাই সাজ নিয়ে কমবেশি সব কনেই একটু বেশি খুঁতখুঁতে হয়।

বিশেষ করে বাঙালিবধূদের মধ্যে বিয়ের দিনের সাজের ক্ষেত্রে লাল রঙের শাড়ি এখনো বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে আছে। রিসেপশনের দিন যত ডিজাইনেরই লেহেঙ্গা কিংবা জমকালো পোশাকই পরি না কেন, বিয়ের দিনের লাল শাড়ি পরার চাহিদা এখনো অটুট। লাল রঙ শুধু সৌন্দর্য নয়; বরং এটি ঐতিহ্য ও শুভ্রতা প্রকাশের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়।

তাই শাড়ি কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করুন। আজকাল বেশিরভাগ দোকানে শাড়ি পরে দেখার সুবিধা থাকে। প্রয়োজনে শাড়ি পরে দেখুন। বিয়ের শাড়ি কেনার সময় কখনো তাড়াহুড়া করবেন না। শাড়ি পরে খুঁটিনাটি দেখে কিনুন। শাড়ি পরার সময় রঙ, ফিট, আরামদায়কতা ও ডিজাইন— সব কিছু মিলছে কিনা, তা দেখে নিন। নিশ্চিত হন। তাহলে বিয়ের দিন সাজ হবে একেবারে নিখুঁত। আর শাড়ি পরতে গিয়েও অস্বস্তি হবে না।

আর যদি শাড়ি বাছার সময় বারবার নিজেকে প্রশ্ন করুন—এই শাড়ি সামলাতে পারবেন কিনা। মন সায় দিলে কিনবেন, না দিলে কিনবেন না। দীর্ঘসময় পর আর আরামদায়ক না হলে পরে আফসোস হতে পারে।

বিয়ের শাড়ি কেনার আগে ভালোভাবে কাপড় দেখে কিনুন। বেনারসি, কাঞ্জিভরম, অর্গানজা, শিফন, জর্জেটসহ যে কোনো ধরনের শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে মৌসুম অনুযায়ী নির্বাচন করা জরুরি। শীতকালে একটু ভারি শাড়ি পরলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, বিয়ের শাড়ি মানে তা দীর্ঘ সময় পরে থাকতে হবে। তাই শাড়ি বাছার আগে ফ্যাব্রিকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যাতে আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বিয়ের দিনে লাল শাড়ি পরার মতো এক ক্লাসিক ট্র্যাডিশন আছে। তবে লাল বলেই সব ধরনের লাল চলে না। সিঁদুরে লাল, মেরুন, ওয়াইন রেড, ব্রিক রেড, টমেটো রেড- শেডের ভিন্নতা অনেক। স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই না হলে শাড়ি সুন্দর লাগলেও সেটি চোখে পড়ে না। তাই লাল শাড়ি কেনার আগে নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই শেডটি নির্বাচন করুন।

অনেক সময় যন্ত্রে তৈরি শাড়ি দোকানগুলো বিক্রি করে। তাই বিয়ের শাড়ি কেনার সময় সতর্ক থাকা উচিত। বেশি দাম দিয়ে কিনলে সিল্ক মার্কযুক্ত শাড়ি কিনুন। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। আর শাড়িতে যদি জরি থাকে, তবে তার ধরন দেখাও জরুরি। কিছু জরি ত্বকে খোঁচা দেয়, ফলে শাড়ি দীর্ঘক্ষণ পর থাকা যায় না। শাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত খুব সস্তা শাড়ির জরি শক্ত হয়, আর একটু দাম দিয়ে কেনা শাড়ির জরি নরম ও আরামদায়ক হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিয়ে মানেই বেনারসি, শাড়ি কেনার সময় যেসব বিষয়ে জানা জরুরি

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিয়ের শাড়ি সাধারণত লালই হয়ে থাকে। আবার অনেকেই কলাপাতা কিংবা ভিন্ন রঙ পছন্দ করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ লাল শাড়ি। এ জন্য বিয়ের দিনের শাড়ি নির্বাচন শুধু সাজ নয়, এটি স্মৃতি হয়ে থাকে সারাজীবনের জন্য।

আর সে জন্য বিয়ের শাড়ি কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় না রাখলে পরে তা আফসোস করতে হতে পারে। সঠিক রঙ নির্বাচন করা, কাপড় ভালো মানের, কাপড়ের ধরন, বাজেট এবং পরিধানের সুবিধা—এসব বিষয় মাথায় রেখেই শাড়ি বাছাই করলে আপনার বিয়ের দিন সাজ হয়ে উঠবে নিখুঁত।

বিয়ে মানে জীবনের নতুন শুরু। অতীতে ছিলেন একরকম, আর বিয়ের পর হয়ে যাবেন আরেক রকম। এখানে সবকিছুই আপনার নতুন মনে হবে। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্নজগতে প্রবেশ করবেন। সে জন্য এ দিনটি যাতে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকে, তাই সাজ নিয়ে কমবেশি সব কনেই একটু বেশি খুঁতখুঁতে হয়।

বিশেষ করে বাঙালিবধূদের মধ্যে বিয়ের দিনের সাজের ক্ষেত্রে লাল রঙের শাড়ি এখনো বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে আছে। রিসেপশনের দিন যত ডিজাইনেরই লেহেঙ্গা কিংবা জমকালো পোশাকই পরি না কেন, বিয়ের দিনের লাল শাড়ি পরার চাহিদা এখনো অটুট। লাল রঙ শুধু সৌন্দর্য নয়; বরং এটি ঐতিহ্য ও শুভ্রতা প্রকাশের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়।

তাই শাড়ি কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করুন। আজকাল বেশিরভাগ দোকানে শাড়ি পরে দেখার সুবিধা থাকে। প্রয়োজনে শাড়ি পরে দেখুন। বিয়ের শাড়ি কেনার সময় কখনো তাড়াহুড়া করবেন না। শাড়ি পরে খুঁটিনাটি দেখে কিনুন। শাড়ি পরার সময় রঙ, ফিট, আরামদায়কতা ও ডিজাইন— সব কিছু মিলছে কিনা, তা দেখে নিন। নিশ্চিত হন। তাহলে বিয়ের দিন সাজ হবে একেবারে নিখুঁত। আর শাড়ি পরতে গিয়েও অস্বস্তি হবে না।

আর যদি শাড়ি বাছার সময় বারবার নিজেকে প্রশ্ন করুন—এই শাড়ি সামলাতে পারবেন কিনা। মন সায় দিলে কিনবেন, না দিলে কিনবেন না। দীর্ঘসময় পর আর আরামদায়ক না হলে পরে আফসোস হতে পারে।

বিয়ের শাড়ি কেনার আগে ভালোভাবে কাপড় দেখে কিনুন। বেনারসি, কাঞ্জিভরম, অর্গানজা, শিফন, জর্জেটসহ যে কোনো ধরনের শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে মৌসুম অনুযায়ী নির্বাচন করা জরুরি। শীতকালে একটু ভারি শাড়ি পরলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, বিয়ের শাড়ি মানে তা দীর্ঘ সময় পরে থাকতে হবে। তাই শাড়ি বাছার আগে ফ্যাব্রিকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যাতে আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বিয়ের দিনে লাল শাড়ি পরার মতো এক ক্লাসিক ট্র্যাডিশন আছে। তবে লাল বলেই সব ধরনের লাল চলে না। সিঁদুরে লাল, মেরুন, ওয়াইন রেড, ব্রিক রেড, টমেটো রেড- শেডের ভিন্নতা অনেক। স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই না হলে শাড়ি সুন্দর লাগলেও সেটি চোখে পড়ে না। তাই লাল শাড়ি কেনার আগে নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই শেডটি নির্বাচন করুন।

অনেক সময় যন্ত্রে তৈরি শাড়ি দোকানগুলো বিক্রি করে। তাই বিয়ের শাড়ি কেনার সময় সতর্ক থাকা উচিত। বেশি দাম দিয়ে কিনলে সিল্ক মার্কযুক্ত শাড়ি কিনুন। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। আর শাড়িতে যদি জরি থাকে, তবে তার ধরন দেখাও জরুরি। কিছু জরি ত্বকে খোঁচা দেয়, ফলে শাড়ি দীর্ঘক্ষণ পর থাকা যায় না। শাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত খুব সস্তা শাড়ির জরি শক্ত হয়, আর একটু দাম দিয়ে কেনা শাড়ির জরি নরম ও আরামদায়ক হয়।