বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২২৫ দিনে কুরআন মুখস্ত করেছে ৯ বছরের জান্নাত

২২৫ দিনে কুরআন মুখস্ত করেছে ৯ বছরের জান্নাত

মাত্র আট মাস অর্থাৎ ২২৫ দিনে পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছে ৯ বছর বয়সী মিফতাহুল জান্নাত বিনতে হারুন। জান্নাতের বাড়ি উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকায়। তার বাবার নাম মাওলানা হারুনর রশিদ। ওই এলাকার ‘কোটবাজার জামিয়া তাওহিদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা’ থেকে প্রায় ৮ মাস অর্থাৎ ২২৫ দিনে পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্থ করেন জান্নাত। গত ২৫ জুন সে হেফজ ছবক সমাপ্তি করে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন। মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। সকলের মেধা এক রকম হয় না। জান্নাত প্রতিদিন পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। এর ফলস্বরূপ অল্প সময়ে সে পবিত্র কোরআন পুরো মুখস্থ করতে পেরেছে এবং হাফেজের খ্যাতি অর্জন করেছে।’ অনুভূতি প্রকাশ করে হাফেজ জান্নাত বলেন, ‘নিয়মিত অধ্যয়নের মাধ্যমে স্বপ্ন নিয়ে লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আমার ও বাবার আশা পূর্ণ হয়েছে। আমি সকলের দোয়া কামনা করছি।’ বাবা মাওলানা হারুনর রশিদ বলেন, ‘আমার মেয়ে অল্প দিনে হাফেজ হয়ে বুকটা ভরিয়ে দিয়েছে। আশা ছিল মেয়েকে হাফেজ বানাব। সেই আশা আল্লাহ্ পূর্ণ করেছেন। আমার মেয়ে মিফতাহুল জান্নাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

২২৫ দিনে কুরআন মুখস্ত করেছে ৯ বছরের জান্নাত

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

মাত্র আট মাস অর্থাৎ ২২৫ দিনে পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছে ৯ বছর বয়সী মিফতাহুল জান্নাত বিনতে হারুন। জান্নাতের বাড়ি উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকায়। তার বাবার নাম মাওলানা হারুনর রশিদ। ওই এলাকার ‘কোটবাজার জামিয়া তাওহিদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা’ থেকে প্রায় ৮ মাস অর্থাৎ ২২৫ দিনে পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্থ করেন জান্নাত। গত ২৫ জুন সে হেফজ ছবক সমাপ্তি করে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন। মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। সকলের মেধা এক রকম হয় না। জান্নাত প্রতিদিন পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। এর ফলস্বরূপ অল্প সময়ে সে পবিত্র কোরআন পুরো মুখস্থ করতে পেরেছে এবং হাফেজের খ্যাতি অর্জন করেছে।’ অনুভূতি প্রকাশ করে হাফেজ জান্নাত বলেন, ‘নিয়মিত অধ্যয়নের মাধ্যমে স্বপ্ন নিয়ে লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আমার ও বাবার আশা পূর্ণ হয়েছে। আমি সকলের দোয়া কামনা করছি।’ বাবা মাওলানা হারুনর রশিদ বলেন, ‘আমার মেয়ে অল্প দিনে হাফেজ হয়ে বুকটা ভরিয়ে দিয়েছে। আশা ছিল মেয়েকে হাফেজ বানাব। সেই আশা আল্লাহ্ পূর্ণ করেছেন। আমার মেয়ে মিফতাহুল জান্নাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।’