বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসুস্থতার হার পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি

লাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নারীদের। অন্যদিকে পুরুষরা সবচেয়ে বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হন অথবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এছাড়াও বিগত বেশ কয়েক বছরে মহামারীতে পুরুষদের মৃত্যুর হার নারীদের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল।

তবে পুরুষদের মৃত্যুর হার বেশি হলেও অসুস্থতার দিক থেকে কিন্তু নারীরা এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। বয়সন্ধিকালে বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও ঋতুস্রাব এবং গর্ভাবস্থার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। তবে নারীদের সহ্য ক্ষমতা পুরুষদের থেকে অনেকটাই বেশি হয় বলে নিজেদের সমস্যার কথা চট করে বলতে চান না নারীরা।

নারীদের রোগে জরাজীর্ণ শরীরের পেছনে সবথেকে বড় কারণ হলো, নারীরা কোনোরকম শারীরিক সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। মাথা ব্যথা অথবা শারীরিক কোনও সমস্যা বড় আকার ধারণ না করলে চট করে তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না।

গত বেশ কয়েক বছরে নারীদের মধ্যে বেড়েছে জরায়ু এবং স্তন ক্যানসারের প্রবণতা। এত ক্যানসার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো, সঠিকভাবে নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য না রাখা। তাই নারীদের থেকে পুরুষদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভোগার ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নারীরা।

প্রসঙ্গত, যেভাবে নারীদের মধ্যে বাড়ছে অসুস্থতার হার, তাতে যদি মেয়েরা নিজেদের দিকে খেয়াল না রাখেন, তাহলে এইভাবেই বাড়বে অসুস্থতার হার। তাই কাজ আর সংসারের কাজ সামলানোর পাশাপাশি নিজের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে, না হলে কিছুতেই আটকানো যাবে না এই সমস্যা। তাই শুধু কাজের ক্ষেত্রে না, সুস্বাস্থ্যের দিক থেকেও হারিয়ে দিতে হবে পুরুষদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অসুস্থতার হার পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি

প্রকাশিত সময় : ১০:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

লাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নারীদের। অন্যদিকে পুরুষরা সবচেয়ে বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হন অথবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এছাড়াও বিগত বেশ কয়েক বছরে মহামারীতে পুরুষদের মৃত্যুর হার নারীদের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল।

তবে পুরুষদের মৃত্যুর হার বেশি হলেও অসুস্থতার দিক থেকে কিন্তু নারীরা এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। বয়সন্ধিকালে বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও ঋতুস্রাব এবং গর্ভাবস্থার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। তবে নারীদের সহ্য ক্ষমতা পুরুষদের থেকে অনেকটাই বেশি হয় বলে নিজেদের সমস্যার কথা চট করে বলতে চান না নারীরা।

নারীদের রোগে জরাজীর্ণ শরীরের পেছনে সবথেকে বড় কারণ হলো, নারীরা কোনোরকম শারীরিক সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। মাথা ব্যথা অথবা শারীরিক কোনও সমস্যা বড় আকার ধারণ না করলে চট করে তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না।

গত বেশ কয়েক বছরে নারীদের মধ্যে বেড়েছে জরায়ু এবং স্তন ক্যানসারের প্রবণতা। এত ক্যানসার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো, সঠিকভাবে নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য না রাখা। তাই নারীদের থেকে পুরুষদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভোগার ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নারীরা।

প্রসঙ্গত, যেভাবে নারীদের মধ্যে বাড়ছে অসুস্থতার হার, তাতে যদি মেয়েরা নিজেদের দিকে খেয়াল না রাখেন, তাহলে এইভাবেই বাড়বে অসুস্থতার হার। তাই কাজ আর সংসারের কাজ সামলানোর পাশাপাশি নিজের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে, না হলে কিছুতেই আটকানো যাবে না এই সমস্যা। তাই শুধু কাজের ক্ষেত্রে না, সুস্বাস্থ্যের দিক থেকেও হারিয়ে দিতে হবে পুরুষদের।