বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগমনী শীতে ত্বকের বাড়তি সুরক্ষা 

  • ফারিয়া জামান:
  • প্রকাশিত সময় : ০৩:২১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৪৫
রোদের তেজ কিছুটা কমে গেছে। অক্টোবর মাসের শেষ হওয়ার সাথে সাথে আসে শীতের আগমনী বার্তা। রাতের শেষ এবং দিনের শুরুতে দেখা যায় হালকা কুয়াশার হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে শীতল বাতাসে বয়ে যায় এর মাধ্যমে প্রকৃতি জানান দেয় শীত আসছে। শীতের শুরুতেই সবার আগে দেখা যায় ত্বকের রুক্ষতা। তাই শীতের সময় ত্বকের চাই বাড়তি সুরক্ষা।
শীতের শুরুতেই প্রয়োজন ত্বকের বিশেষ যত্ন। ত্বকের জন্য সবথেকে খারাপ সময় হচ্ছে শীতকাল। তাই শীতকালের শুষ্ক ময় প্রভাব দেখা যায় ত্বকে। ত্বকে পরে মলিনতার ছাপ। তাই ত্বকের বাড়তি যত্নে প্রয়োজন কিছু প্রসাধন সামগ্রী। যেমন – লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, গ্লিসারিন, ময়েশ্চরাইজার, সানস্ক্রিন ও সিরাম ইত্যাদি।
শীতের এই শুষ্ক ময় প্রভাব থেকে সুরক্ষা পেতে ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন যাতে ত্বক তার কোমলতা ও স্নিগ্ধতা ফিরে পায়। তাই বিভিন্ন উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এছাড়া ত্বকের বিশেষ যত্নে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ যা বলছেন সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মুখের যত্ন:
শীতের সময় রূপচর্চায় চাই কিছুটা পরিবর্তন। শীতে শুষ্ক ময় প্রভাবের ফলে ত্বক শুষ্ক হতে দেখা যায়। শীতে মুখের যত্ন বিশেষভাবে করতে হয়। মুখে শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চরাইজার ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে ওঠে।শীতে শুষ্ক হাওয়া তে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ। তাই এরকম সময়ে ত্বকে ঘন ময়েশ্চরাইজার লাগাতে হবে। ফেসিয়াল ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাহিরে থাকে তাদের মুখের ত্বকে গাড়ির ধোঁয়া , ধুলাবালি জমা হতে পারে। তাই ত্বকের ময়লা দূর করতে মুখের ফেসিয়াল করলে মুখ পরিষ্কার থাকবে।
ঠোঁটের যত্ন:
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়াতে ঠোঁট সবথেকে বেশি ফাটতে দেখা যায়। এই জন্য বেশিরভাগ সময় পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে লাগাতে হবে তাহলে ঠোঁট সুন্দর থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন:
মানুষ মুখের ত্বক নিয়ে যত বেশি চিন্তা করেন, সেরকম চিন্তা কেউই হাত ও পায়ের ত্বক নিয়ে করেন না। শীতকালে মুখের পাশাপাশি হাত ও পায়ের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই এই শুষ্কতা দূর করতে প্রয়োজন হাত পায়ে ময়েশ্চরাইজার ক্রিম দেওয়া। এমনকি ১৫ দিন পর পর কোনো বিউটি পার্লার থেকে ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করা প্রয়োজন। তাহলে হাত ও পা একদম স্বচ্ছ ও নরম থাকবে। হাত ও পা ভালো করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে গ্লিসারিন দিলে শুষ্কতা কমে যাবে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমে যাবে।
চুলের যত্ন:
শীতকালে ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া ঠিক নয়। এর ফলে চুল ভেঙ্গে যায় চুলের আদ্রতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। শীতের মৌসুমে চুল ঘন ও কোমল রাখার জন্য হারবাল হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে। শীতের সময় খুশকি থেকে সুরক্ষা পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন কুসুম গরম নারিকেল তেলের সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। এভাবে চুলের যত্ন নিলে চুল ঘন ও সুন্দর হবে।
শীতের মৌসুমে যেহেতু ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ থাকে তাই যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । যেমন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানি পান করার ফলে ত্বকের আদ্রতা কমবেনা ফলে ত্বক ভালো থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন ফল ও ডাবের পানি পান করতে হবে। শীতের সময় প্রতিদিন রোদে থাকতে হবে। তাইলে শরীর কিছুটা ভিটামিন ডি পাবে। শীতকালে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবেনা। গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
শীতে এই শুষ্কতা দূর করার জন্য ত্বকের যত্ন নিন। ত্বককে উজ্জ্বল রাখুন , কোমল রাখুন এবং ভালো রাখুন প্রতিদিন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আগমনী শীতে ত্বকের বাড়তি সুরক্ষা 

প্রকাশিত সময় : ০৩:২১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
রোদের তেজ কিছুটা কমে গেছে। অক্টোবর মাসের শেষ হওয়ার সাথে সাথে আসে শীতের আগমনী বার্তা। রাতের শেষ এবং দিনের শুরুতে দেখা যায় হালকা কুয়াশার হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে শীতল বাতাসে বয়ে যায় এর মাধ্যমে প্রকৃতি জানান দেয় শীত আসছে। শীতের শুরুতেই সবার আগে দেখা যায় ত্বকের রুক্ষতা। তাই শীতের সময় ত্বকের চাই বাড়তি সুরক্ষা।
শীতের শুরুতেই প্রয়োজন ত্বকের বিশেষ যত্ন। ত্বকের জন্য সবথেকে খারাপ সময় হচ্ছে শীতকাল। তাই শীতকালের শুষ্ক ময় প্রভাব দেখা যায় ত্বকে। ত্বকে পরে মলিনতার ছাপ। তাই ত্বকের বাড়তি যত্নে প্রয়োজন কিছু প্রসাধন সামগ্রী। যেমন – লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, গ্লিসারিন, ময়েশ্চরাইজার, সানস্ক্রিন ও সিরাম ইত্যাদি।
শীতের এই শুষ্ক ময় প্রভাব থেকে সুরক্ষা পেতে ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন যাতে ত্বক তার কোমলতা ও স্নিগ্ধতা ফিরে পায়। তাই বিভিন্ন উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এছাড়া ত্বকের বিশেষ যত্নে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ যা বলছেন সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মুখের যত্ন:
শীতের সময় রূপচর্চায় চাই কিছুটা পরিবর্তন। শীতে শুষ্ক ময় প্রভাবের ফলে ত্বক শুষ্ক হতে দেখা যায়। শীতে মুখের যত্ন বিশেষভাবে করতে হয়। মুখে শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চরাইজার ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে ওঠে।শীতে শুষ্ক হাওয়া তে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ। তাই এরকম সময়ে ত্বকে ঘন ময়েশ্চরাইজার লাগাতে হবে। ফেসিয়াল ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাহিরে থাকে তাদের মুখের ত্বকে গাড়ির ধোঁয়া , ধুলাবালি জমা হতে পারে। তাই ত্বকের ময়লা দূর করতে মুখের ফেসিয়াল করলে মুখ পরিষ্কার থাকবে।
ঠোঁটের যত্ন:
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়াতে ঠোঁট সবথেকে বেশি ফাটতে দেখা যায়। এই জন্য বেশিরভাগ সময় পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে লাগাতে হবে তাহলে ঠোঁট সুন্দর থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন:
মানুষ মুখের ত্বক নিয়ে যত বেশি চিন্তা করেন, সেরকম চিন্তা কেউই হাত ও পায়ের ত্বক নিয়ে করেন না। শীতকালে মুখের পাশাপাশি হাত ও পায়ের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই এই শুষ্কতা দূর করতে প্রয়োজন হাত পায়ে ময়েশ্চরাইজার ক্রিম দেওয়া। এমনকি ১৫ দিন পর পর কোনো বিউটি পার্লার থেকে ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করা প্রয়োজন। তাহলে হাত ও পা একদম স্বচ্ছ ও নরম থাকবে। হাত ও পা ভালো করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে গ্লিসারিন দিলে শুষ্কতা কমে যাবে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমে যাবে।
চুলের যত্ন:
শীতকালে ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া ঠিক নয়। এর ফলে চুল ভেঙ্গে যায় চুলের আদ্রতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। শীতের মৌসুমে চুল ঘন ও কোমল রাখার জন্য হারবাল হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে। শীতের সময় খুশকি থেকে সুরক্ষা পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন কুসুম গরম নারিকেল তেলের সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। এভাবে চুলের যত্ন নিলে চুল ঘন ও সুন্দর হবে।
শীতের মৌসুমে যেহেতু ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ থাকে তাই যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । যেমন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানি পান করার ফলে ত্বকের আদ্রতা কমবেনা ফলে ত্বক ভালো থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন ফল ও ডাবের পানি পান করতে হবে। শীতের সময় প্রতিদিন রোদে থাকতে হবে। তাইলে শরীর কিছুটা ভিটামিন ডি পাবে। শীতকালে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবেনা। গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
শীতে এই শুষ্কতা দূর করার জন্য ত্বকের যত্ন নিন। ত্বককে উজ্জ্বল রাখুন , কোমল রাখুন এবং ভালো রাখুন প্রতিদিন।