বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ: বাবা-মা’র পর মেয়ের মৃত্যু

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবা-মা’র মৃত্যুর পর এবার মারা গেল দুই বছরের মেয়ে ফাতেমা আক্তার। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ২৫ এপ্রিল ভোরে সেহেরির পরপরই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান গৃহকর্তা আবদুল করিম (৩০)। তার কিছু সময় পর মারা যান স্ত্রী খাদিজা আক্তারও (২৫)। মুদি ব্যবসায়ী করিম পরিবার নিয়ে মাতুয়াইল এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ২১ এপ্রিল ভোরে সেহেরির সময় খাবার গরম করতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। প্রতিবেশীরা তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনজনের মধ্যে খাদিজার দেহের প্রায় ৯৫ শতাংশ, করিমের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর তাদের মেয়ে ফাতেমার ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ: বাবা-মা’র পর মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবা-মা’র মৃত্যুর পর এবার মারা গেল দুই বছরের মেয়ে ফাতেমা আক্তার। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ২৫ এপ্রিল ভোরে সেহেরির পরপরই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান গৃহকর্তা আবদুল করিম (৩০)। তার কিছু সময় পর মারা যান স্ত্রী খাদিজা আক্তারও (২৫)। মুদি ব্যবসায়ী করিম পরিবার নিয়ে মাতুয়াইল এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ২১ এপ্রিল ভোরে সেহেরির সময় খাবার গরম করতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। প্রতিবেশীরা তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনজনের মধ্যে খাদিজার দেহের প্রায় ৯৫ শতাংশ, করিমের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর তাদের মেয়ে ফাতেমার ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।