1. news@dailydeshnews.com : Admin2021News :
  2. : deleted-txS0YVEn :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন

কারো মৃত্যুতে আহাজারি, যা বলেছেন নবীজি

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৫ পঠিত

যে জন্মেছে সে মরবেই। যার সূচনা হয়েছে তার সমাপ্তি ঘটবেই। এটা আল্লাহ তাআলার শাশ্বত চিরন্তন বিধান। এ অমোঘ বিধানের কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন নেই। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে চির ও অনড় সত্য হলো মৃত্যু। মৃত্যু অবধারিত। মানুষের জন্য বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক কিন্তু মৃত্যুটা খুবই স্বাভাবিক।

পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে নির্ধারিত জীবনযাপনের পর কেউ আর বেঁচে নেই। এ জন্য পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে কবরের সংখ্যা বেশি। ফলে জীবনের সময়টুকু পার্থিব এ জীবনের মূলধন। তাই আখিরাতের কল্যাণের কাজে যদি এ জীবন ব্যয় করা হয়, তাহলে অনিঃশেষ সফলতা।

আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে— আর এ অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে।’ (বুখারি : ১১/৮৯)

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১৮৫)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

কারো মৃত্যু হলে তার জানাজা ও দাফন দেওয়া জীবিতদের ওপর ফরজে কিফায়া। মৃতের জানাজার নামাজ ও দাফন-কাফনে অংশ নেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। অথচ আমাদের সমাজে কেউ মারা গেলে অথবা তাকে কবর দেওয়ার জন্য জানাজার খাটিয়ে উঠাতে গেলে তার আত্মীয়-স্বজনেরা বিশেষত মহিলারা বুক চাপড়িয়ে, করুণ সুরে আহাজারি করে। অথচ শরীয়তে এটি শক্তভাবে নিষিদ্ধ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পেশিতে আঘাত করে, কাপড় ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে এবং জাহেলিয়াত যুগের মত বিভিন্ন প্রবাদ বলে যে আহাজারি করল, সে আমার আমাদের মধ্য থেকে নয়।’ (বুখারী ১২৩৫)

সুতরাং প্রিয়জন মারা গেলে ব্যথিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। আর ধৈর্য ধারণ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি চোখের পানি চলে আসে কিংবা কান্নার মৃদু মৃদু আওয়াজ বের হয়ে যায় তাহলে এটা দোষণীয় নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘প্রিয়জন মারা গেলে যে বান্দা আমার সন্তুষ্টি অর্জনকল্পে ধৈর্য ধারণ করে তাকে আমার পক্ষ থেকে জান্নাত পুরস্কৃত করা হবে।’ (বুখারী ৬০৬০)

আরেক হাদিস হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০১)

হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আপনজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All Rights Reserved © DAILY DESH NEWS.COM 2020-2023
Theme Customized BY Sky Host BD