সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোষা প্রাণী নিষিদ্ধ করছে ইরান

পোষা প্রাণী নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করতে যাচ্ছে রক্ষণশীল দেশ ইরান। প্রস্তাবিত আইনের পক্ষে ইরানের পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ খবর প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবিত আইনে একই ছাদের নিচে প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বসবাস করাকে ‘ধ্বংসাত্মক সামাজিক সমস্যা’ বলে নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই চর্চা ‘ধীরে ধীরে ইরানি নাগরিকদের ইসলামী জীবনধারাকে পরিবর্তন করছে।’

প্রস্তাবিত আইন পাশ হলে বন্য, হিংস্র, ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক প্রাণী আদমানি, পালন, প্রজনন, কেনাবেচা, পরিবহণ, যানবাহনে তোলা, হাঁটার সময় সঙ্গে রাখা কিংবা বাড়িতে রাখা নিষিদ্ধ করা হবে।

নিষিদ্ধ প্রাণীর তালিকায় রয়েছে, কুমির, কচ্ছপ, সাপ, টিকটিকি, বেড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, কুকুর এবং বানরসহ `অপরিষ্কার’ প্রাণী।

এমনিতেই পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞারা কারণে ইরানে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা চলছে। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত এই আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপহাস এবং রাজধানীর বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রাণীপ্রেমী মোস্তফা বলেন, আমার বেড়াল বিপজ্জনক নয়। ২৫ বছর বয়সী এই যুবকের তেহরানের উপকণ্ঠে এস্কান্দারি স্ট্রিটে একটি প্রাণী বেচাকেনার দোকান আছে।

মাস খানেক আগে উত্থাপিত আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কুমির হয়তো বিপজ্জনক হতে পারে কিন্তু খরগোশ, কুকুর আর বেড়াল কিভাবে বিপজ্জনক হয়?

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিনেত্রী জানান, তিনি পার্লামেন্টের বাইরে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ওপর এ নিয়ে চাপ আসায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেন তিনি।

এদিকে তীব্র জনরোষের মুখেও কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি পাশের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পোষা প্রাণী নিষিদ্ধ করছে ইরান

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

পোষা প্রাণী নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করতে যাচ্ছে রক্ষণশীল দেশ ইরান। প্রস্তাবিত আইনের পক্ষে ইরানের পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ খবর প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবিত আইনে একই ছাদের নিচে প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বসবাস করাকে ‘ধ্বংসাত্মক সামাজিক সমস্যা’ বলে নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই চর্চা ‘ধীরে ধীরে ইরানি নাগরিকদের ইসলামী জীবনধারাকে পরিবর্তন করছে।’

প্রস্তাবিত আইন পাশ হলে বন্য, হিংস্র, ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক প্রাণী আদমানি, পালন, প্রজনন, কেনাবেচা, পরিবহণ, যানবাহনে তোলা, হাঁটার সময় সঙ্গে রাখা কিংবা বাড়িতে রাখা নিষিদ্ধ করা হবে।

নিষিদ্ধ প্রাণীর তালিকায় রয়েছে, কুমির, কচ্ছপ, সাপ, টিকটিকি, বেড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, কুকুর এবং বানরসহ `অপরিষ্কার’ প্রাণী।

এমনিতেই পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞারা কারণে ইরানে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা চলছে। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত এই আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপহাস এবং রাজধানীর বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রাণীপ্রেমী মোস্তফা বলেন, আমার বেড়াল বিপজ্জনক নয়। ২৫ বছর বয়সী এই যুবকের তেহরানের উপকণ্ঠে এস্কান্দারি স্ট্রিটে একটি প্রাণী বেচাকেনার দোকান আছে।

মাস খানেক আগে উত্থাপিত আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কুমির হয়তো বিপজ্জনক হতে পারে কিন্তু খরগোশ, কুকুর আর বেড়াল কিভাবে বিপজ্জনক হয়?

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিনেত্রী জানান, তিনি পার্লামেন্টের বাইরে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ওপর এ নিয়ে চাপ আসায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেন তিনি।

এদিকে তীব্র জনরোষের মুখেও কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি পাশের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।