বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গঞ্জে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাসায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ হয়েছে।  আহতদের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে সোনা উদ্দিনের (৪৫) শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের (৬৫) শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসন বানুর (৫৫) শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের (২৪) শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের (১৫) শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে ওমর ফারুক বাদে বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকায় একটি বাসায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের  ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পাঁচজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম বলেন, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকানে কাজ করে। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

তিনি আরও বলেন, রাতে তারা যখন বাসাটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টকর্মী ফরমুজ (২২) ঘটনার সময় বাসায় না থাকায় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গঞ্জে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাসায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ হয়েছে।  আহতদের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে সোনা উদ্দিনের (৪৫) শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের (৬৫) শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসন বানুর (৫৫) শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের (২৪) শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের (১৫) শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে ওমর ফারুক বাদে বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকায় একটি বাসায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের  ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পাঁচজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম বলেন, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকানে কাজ করে। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

তিনি আরও বলেন, রাতে তারা যখন বাসাটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টকর্মী ফরমুজ (২২) ঘটনার সময় বাসায় না থাকায় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।