শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলায় ফাঁস দিয়ে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গতরাত ৩ টার দিকে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না জড়িয়ে আত্মহননের পথ বেঁছে নেন।

ইমরুল কায়েস নামের এই শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে।

বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো কায়েস।

আরিয়ান নামের এক সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, “বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় ইমরুল। ঘটনার কিছুদিন আগে মায়ের কাছে মোটর সাইকেল চেয়েছিলো সে। কিনেও দেয়া হয়েছিল সেটা।

কিন্তু ঘটনার আগেই সে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনে দিতে বলেছিল সে। কিন্তু মধ্য রাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরপর সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় । পরে রুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।”

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমরুলের টাইমলাইনে কয়েকদিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছিল।

কয়েকদিন ধরে ‘ব্যর্থতা আত্নহত্যার মূল’, আর পরিচিত কয়েকজনের সাথে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছিল সে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গলায় ফাঁস দিয়ে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত সময় : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গতরাত ৩ টার দিকে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না জড়িয়ে আত্মহননের পথ বেঁছে নেন।

ইমরুল কায়েস নামের এই শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে।

বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো কায়েস।

আরিয়ান নামের এক সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, “বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় ইমরুল। ঘটনার কিছুদিন আগে মায়ের কাছে মোটর সাইকেল চেয়েছিলো সে। কিনেও দেয়া হয়েছিল সেটা।

কিন্তু ঘটনার আগেই সে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনে দিতে বলেছিল সে। কিন্তু মধ্য রাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরপর সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় । পরে রুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।”

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমরুলের টাইমলাইনে কয়েকদিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছিল।

কয়েকদিন ধরে ‘ব্যর্থতা আত্নহত্যার মূল’, আর পরিচিত কয়েকজনের সাথে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছিল সে।