মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আসাদ সরকার

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকার রাশিয়ায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এই অর্থ রাশিয়ায় পাচার করা হয়েছে মার্চ ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে। সোমবার দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো অর্থ নগদ ডলার ও ইউরোর নোটে চলে যায় রাশিয়ায়। সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে এই চালান পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা রাশিয়ার ব্যাংকগুলোতে এই অর্থ জমা করা হয়েছিল।

রাশিয়া সিরিয়ার জন্য একটি আর্থিক লাইফলাইন হয়ে উঠেছিল। যাকে একসময় মারাত্মক বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছিল। অনেক দিন ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলতে থাকায় এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার কারণে এই নগদ অর্থ স্থানান্তর করা হয় মস্কোতে।

এদিকে নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড শেঙ্কার বলেছেন, ‘আসাদ সরকারকে সেই সময় বিদেশে অর্থ পাচার করতে হয়েছে বা একটি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজনের সময় তা সদ্ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘকাল ধরে আসাদ সরকার বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের এই কাজটি করে আসছে।’

সিরিয়ার লিগ্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একজন সিনিয়র গবেষক ইয়াদ হামিদ নিশ্চিত করেছেন যে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে আসাদ সরকারের ‘জরুরি তহবিল’ হিসাবে ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া। যার মধ্য দিয়ে সিরিয়ার বাইরে আসাদ পরিবারের সম্পদ ক্রমেই বাড়ছিল। একই সঙ্গে সিরিয়ার অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছিল। আসাদ পরিবার বিশেষ করে ফার্স্টলেডি আসমা আল-আসাদ দেশের অর্থনীতির মূল অংশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। যার মধ্যে মাদক পাচার এবং জ্বালানি চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ড ছিল।

 

সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আসাদ সরকার

প্রকাশিত সময় : ১০:২৬:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকার রাশিয়ায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এই অর্থ রাশিয়ায় পাচার করা হয়েছে মার্চ ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে। সোমবার দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো অর্থ নগদ ডলার ও ইউরোর নোটে চলে যায় রাশিয়ায়। সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে এই চালান পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা রাশিয়ার ব্যাংকগুলোতে এই অর্থ জমা করা হয়েছিল।

রাশিয়া সিরিয়ার জন্য একটি আর্থিক লাইফলাইন হয়ে উঠেছিল। যাকে একসময় মারাত্মক বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছিল। অনেক দিন ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলতে থাকায় এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার কারণে এই নগদ অর্থ স্থানান্তর করা হয় মস্কোতে।

এদিকে নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড শেঙ্কার বলেছেন, ‘আসাদ সরকারকে সেই সময় বিদেশে অর্থ পাচার করতে হয়েছে বা একটি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজনের সময় তা সদ্ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘকাল ধরে আসাদ সরকার বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের এই কাজটি করে আসছে।’

সিরিয়ার লিগ্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একজন সিনিয়র গবেষক ইয়াদ হামিদ নিশ্চিত করেছেন যে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে আসাদ সরকারের ‘জরুরি তহবিল’ হিসাবে ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া। যার মধ্য দিয়ে সিরিয়ার বাইরে আসাদ পরিবারের সম্পদ ক্রমেই বাড়ছিল। একই সঙ্গে সিরিয়ার অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছিল। আসাদ পরিবার বিশেষ করে ফার্স্টলেডি আসমা আল-আসাদ দেশের অর্থনীতির মূল অংশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। যার মধ্যে মাদক পাচার এবং জ্বালানি চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ড ছিল।

 

সূত্র: যুগান্তর