মোবাইল অপারেটরের কলড্রপ, নেটওয়ার্কের ধীরগতি, কলরেট এবং ইন্টারনেট প্যাকেজ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রোববার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এ এম মাসুম। এর আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর শক্তিশালী নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্পানিগুলো বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
ওই নির্দেশে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। অপারেটরদের কলড্রপ, ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে মোবাইল গ্রাহকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিষয়গুলো নিয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে অসংখ্য অভিযোগও জমা পড়েছে।
ইন্টারনেটের গতি নির্ণয়ের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ওকলার হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ বিশ্বে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ১২৮তম দেশ। বাংলাদেশের চেয়ে মোবাইল ইন্টারনেটে ভালো অবস্থানে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া, আফ্রিকার দেশ উগান্ডাও।
মোবাইল ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার এই দুর্বল পরিস্থিতি নিয়ে গত বছরের ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগত ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ‘ল রিপোর্টার্স ফোরামের’ সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে তার জবাব দিতে বলে বিটিআরসিকে।