রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিক ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংসদ হাজী সেলিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতাল নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক‍্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় হাজী সেলিমকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে নতুন ভবনের ১০৭ নম্বর কেবিনে ভর্তি করেছেন। এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন হাজী সেলিম। আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন হাজী সেলিম। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালত। বাকশক্তি হারানোয় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কথা বলতে পারেন না হাজী সেলিম। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির বিশেষ অফিসারদের ডাকা হয়। যারা ইশারা ভাষা বোঝেন ডিবির এমন অফিসাররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। হাজী সেলিম ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান। এরপর ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকেট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হাজী সেলিম। নৌকার প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি হওয়ার পর সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র সদস্যকে নিয়ে জোট গঠন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন হাজী সেলিম। পরে দুর্নীতির মামলায় দশ বছরের সাজা হলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাজার পর তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। পরে অবশ্য জামিনে মুক্ত হন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী সেলিম প্রার্থী হননি। তার ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকেটে ভোট করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।