মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবির সেই ১৩৮ জনের নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সময়ে গত ৫ মে ১৩৮ জনকে দেওয়া নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তিনমাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক এই ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের(ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের করা একি রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

জানা যায়, গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে বিদায়ি ভিসি ড. সোবহান ৯জন শিক্ষকসহ ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের জামাতাসহ ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এনিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ অবস্থায় গত ৬ মে ১৪১ জনের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ইউজিসির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে ড. সোবহান, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, দুইজন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ভিসির জামাতাকে বিতর্কিত নিয়োগে সরাসরি দায়ী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

রাবির সেই ১৩৮ জনের নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সময়ে গত ৫ মে ১৩৮ জনকে দেওয়া নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তিনমাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক এই ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের(ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের করা একি রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

জানা যায়, গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে বিদায়ি ভিসি ড. সোবহান ৯জন শিক্ষকসহ ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের জামাতাসহ ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এনিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ অবস্থায় গত ৬ মে ১৪১ জনের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ইউজিসির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে ড. সোবহান, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, দুইজন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ভিসির জামাতাকে বিতর্কিত নিয়োগে সরাসরি দায়ী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে।